শিরোনাম
রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ও বিকেএমইএ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কাছে চাঁদা দাবি ও আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ এই অভিযোগ করেন। এর মধ্যে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্র্রি ৩ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিয়েছে। তবে তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, আপনারা জানেন গত কয়েকদিন কীভাবে চাঁদাবাজি হয়েছে। কীভাবে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার চেম্বারও আক্রান্ত। ১০ লাখ টাকার দাবি ছিল, ৩ লাখ টাকায় মিটিয়েছি। ৭ লাখ টাকার জন্য চাপ আছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান বিকেএমইএ-ও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই চাঁদার টাকা ফেরত দিতে হবে। আমি নাম উল্লেখ করলাম না, সময় দিলাম। প্রয়োজনে শহীদ মিনারে গিয়ে এদের লাল কার্ড দেখাব, প্রয়োজনে শহর থেকে বের করে দেব। দলীয় প্রধানদের লিখিত অভিযোগ দেব।

বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে একটি দেশে নিতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শ্রীলঙ্কায় যখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলো তখন সেখান থেকে গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশে চলে আসে। বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করে কেউ তার দেশে হয়তো এটা নিয়ে যেতে চাইছে। তবে তিনি দেশের নাম উল্লেখ না করে বলেন, আমি দেশের নাম উল্লেখ করলাম না। গতকাল ইন্ডিয়ার একটি পত্রিকায় এ ব্যাপারে নিউজ ছাপা হয়েছে। তাদের দেশে অনেক অর্ডার যাচ্ছে। শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কারও উসকানিতে পা দেবেন না। এর ফলে আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা বিদেশিদের দ্বারা লালিত পালিত হয়ে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। তারা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। তাই আমাদের সতর্ক হতে হবে। বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টে অরাজকতা করা হচ্ছে। এ সময় রাজনৈতিক ও শ্রমিক নেতাদের এই ক্রান্তিলগ্নে ভূমিকা পালন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর