বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

তদন্তে কমিশন গঠন চেয়ে লিগ্যাল নোটিস

বিডিআর বিদ্রোহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর রাজধানীর পিলখানায় বিদ্রোহের সময় সেনা অফিসারদের হত্যার ঘটনা ফের তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার নয়জন আইনজীবী ও একজন ব্যবসায়ীর পক্ষে গতকাল স্বরাষ্ট্র সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি ও র‌্যাবের ডিজিকে ইমেইলে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। এতে নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন ও ওই ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।জানা যায়, বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা অফিসারসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। নোটিসে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা শাস্তির আওতায় আসেনি। অনেক নিরীহ মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন উ আহমেদ বলেছেন, বিডিআর সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা জনগণ জানতে পারেনি।  নোটিসে আরও বলা হয়, সেনা অফিসারদের জীবন রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল নোটিস গ্রহীতাদের। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী এ দায়িত্ব রক্ষায় নোটিস গ্রহীতারা ব্যর্থ হয়েছেন। তারা তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। নোটিস দাতারা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট মো. শাহেদ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার সলিম উল্লাহ, অ্যাডভোকেট লোকমান হাকিম, ব্যারিস্টার ও সলিসিটর মো. কাউসার ও ব্যবসায়ী মাহফুজুল ইসলাম।

সর্বশেষ খবর