শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
রংপুর

কমছে জমি ভূমিহীন কৃষক

♦ পাঁচ বছরে আবাদি জমি কমেছে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর ♦ জনসংখ্যা বেড়েছে দেড় লাখ, খাদ্যের চাহিদা বেড়েছে ২৮ হাজার মেট্রিক টন

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুর জেলায় আবাদি জমি ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা এবং খাদ্যের চাহিদা। গত পাঁচ বছরে আবাদি জমি কমেছে ৩ হাজার ৪৮৪ হেক্টর। একই সময়ে জনসংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৩ জন। খাদ্যের চাহিদা বেড়েছে ২৭ হাজার ৫৯৪ মেট্রিক টন। পাঁচ বছরে খাদ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে মাত্র ২ হাজার ৭০৫ মেট্রিক টন। জেলায় মোট কৃষকের ৫ ভাগের এক ভাগই ভূমিহীন। জেলায় বড় কৃষকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। জেলায় মাত্র ৬ হাজার বড় কৃষক রয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী রংপুরে তেমন একটা উৎপাদন বাড়েনি। এ ছাড়া উদ্বৃত্ত ফসল আনুপাতিক হারে তেমন একটা বাড়েনি। এক সময় রংপুরের উদ্বৃত্ত ফসল দিয়ে দেশের অন্যান্য জেলার চাহিদা মেটানো হতো। বর্তমানে যে ফসল উৎপাদন হয় তা দিয়ে জেলার ৩২ লাখ মানুষের চাহিদা মিটলেও প্রতি বছরই আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। ফলে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাদ্যশস্য জোগান দেওয়া সম্ভব হলেও আগামীতে এই জেলায় খাদ্য উদ্বৃত্ত নাও থাকতে পারে এমনটা শঙ্কা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে জেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১ হাজার ৪৯১ হেক্টর। বর্তমানে জমির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭ হেক্টরে। পাঁচ বছর আগে জেলার জনসংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৭২ হাজার ১০৬ জন। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ২৬ হাজার ২৮৯ জন। উৎপাদন ছিল ১০ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৯ মেট্রিক টন। বার্ষিক চাহিদা ছিল ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৯০৪ মেট্রিক টন। চাহিদা মিটিয়ে খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত ছিল ৪ লাখ ১ হাজার ৫৫০ টন।

পাঁচ বছর পরে চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯৮ টন। উৎপাদন কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ টন। উদ্বৃত্ত ৪ লাখ ৪ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, আধুনিক চাষাবাদ সম্পর্কে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে রংপুরের ফসল উদ্বৃত্ত থাকছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর