শিরোনাম
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
সিলেটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

ক্ষোভে জ্বলছে যুবদল

ত্যাগীরা অবহেলিত, সুযোগসন্ধানীদের পোয়াবারো

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

ক্ষোভে জ্বলছে যুবদল

সিলেটে কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার দুই বছর পর কেন্দ্র থেকে জেলা ও মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে কমিটি দুটি অনুমোদিত হওয়ার পর থেকে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। ক্ষোভের আগুনে জ্বলা নেতা-কর্মীরা পরদিন নগরীতে ঝাড়ুমিছিল করে কমিটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কমিটিতে রাজপথের সক্রিয় ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন হয়নি। বিপরীতে আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়, সুযোগসন্ধানী, প্রবাসী ও অনুপ্রবেশকারীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্র জানান, ২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ভোটে অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি ও মকসুদ আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আর মহানগরের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত তারেক ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মির্জা মো. সম্রাট হোসেন। দুই বছর পর ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র থেকে জেলা যুবদলের ২৯১ ও মহানগর শাখার ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই কমিটি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। এর জেরে ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদমিনার থেকে ঝাড়ুমিছিল বের করেন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। গত শুক্রবার বিকালেও বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা তাঁদের পছন্দের লোক দিয়ে পকেট কমিটি করেছেন। দলে কোনো অবদান নেই এমন অনেককে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করা হয়েছে। অথচ জেলখাটা ত্যাগী অনেক নেতা-কর্মীকে কমিটিতে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এভাবে চললে রাজনীতিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীরা আগ্রহ হারাবেন। তাই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।

নবগঠিত জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিটন আহমদ বলেন, ‘যাঁরা বিগত দিনে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তাঁদের কমিটিতে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। পরীক্ষিতদের পরিবর্তে নিষ্ক্রিয় ও সুবিধাবাদীদের কমিটিতে অতিমূল্যায়ন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকেও যুবদলের কমিটিতে বড় পদ দেওয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এ ছাড়া কমিটিতে সিনিয়র-জুনিয়র বিবেচনা না করায় দলের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।’

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা যুবদল সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিন বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে যাঁরা যেসব অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয়। কমিটিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের যথাযথ মূল্যায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। দুজন প্রবাসী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে, তাঁদের বাদ দেওয়া হতে পারে। আর স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে যুবদলের কমিটিতে অনুপ্রবেশের যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সত্য নয়। যাঁকে নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে সে মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ছিল। স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতেও ছিল সে। দীর্ঘদিন ধরে সে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কে বা কারা ছবি এডিট করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তবে কমিটি নিয়ে কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মী ভুল বুঝছেন। আশা করছি শিগগিরই এ ক্ষোভ প্রশমিত হবে।’

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর