শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

মঞ্চে ওঠা তৃতীয় ব্যক্তি অনুপ্রবেশকারী

মাহফুজ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন নিউইয়র্ক সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাঁর বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমসহ দুজনকে মঞ্চে ডেকে এনে আন্দোলনে তাদের ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি। এ সময় মাহফুজ আলমকে আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে স্টেজে আসা তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক শুরু হয়। এরপর এক ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম জানান, সিজিআই ইভেন্টের লোকটা একজন অনুপ্রবেশকারী এবং অসাধু লোক ছিল।

ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন, ওই ব্যক্তি সিজিআই ইভেন্টে যোগদান করেছেন নিজ থেকে। সেই ব্যক্তির উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের এবং সেখানকার প্রতিনিধি দলের সদস্যদের জানা ছিল না। তিনি প্রতিনিধি দলের কারও সঙ্গে আগে যোগাযোগও করেননি।

তিনি আরও বলেন, স্যার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) যখন আমাদের স্টেজে ডাকেন তখন তিনি তাড়াহুড়া করে দাঁড়িয়ে আমাদের আগে স্টেজের দিকে দৌড়ে যান। আমি ওই লোকটাকে স্টেজে যাওয়া থেকে বিরত করতে পারলাম না, যদিও আমি সন্দিহান ছিলাম। বিশ্বনেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে আমি আবারও অসহায় হলাম।

মাহফুজ বলেন, এটা ছিল ফ্যাসিস্টদের পূর্বপরিকল্পিত নাশকতার কাজ। আন্দোলন ও গণ অভ্যুত্থানের নেতা, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা তার অনুপ্রবেশ রোধ করতে পারিনি। আমরা আগামী দিনে গণ অভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকব। তবে ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম সেই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে স্টেজে ওঠা তৃতীয় ব্যক্তির নাম জাহিন রাজিন। তিনি হাইড্রোকো প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। সিজিআই ফেলো হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বলে একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রাজিন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর