চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দমন-পীড়নে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সংগঠনটি। যদিও চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থা বেশ ভালো। বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রাম সাতকানিয়া-লোহাগাড়া থেকে নবম সংসদ নির্বাচনেও এমপি হয়েছিলেন জামায়াতের প্রার্থী শামসুল ইসলাম। তবে মামলা, হামলা ও আওয়ামী নিপীড়নে বিপর্যস্ত জামায়াতে ইসলামী এবার মনোযোগ সংগঠন গোছানোর কাজে। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে মাঠ গোছানোর কাজে কোমর বেঁধে নেমেছে দলটি। লক্ষ্য আগামী নির্বাচন ও দলকে মানুষের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা-এমন মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।
জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, জামায়াতে ইসলামী গতানুগতিক কোনো দল না, এটি আদর্শিক একটি দল। আমাদের বিরুদ্ধে এত বছর যে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে তা মানুষ বিশ্বাস করে না। যার কারণে এখন তরুণরা জামায়াতে ইসলামীতে নেতৃত্ব দিচ্ছে, মানুষ আমাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। জামায়াতের কাছে জনমানুষের প্রত্যাশাও বেড়েছে। আমরা সে প্রত্যাশা পূরণে জামায়াতে ইসলামীকে জনমানুষের দল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডে দলীয়ভাবে কাউন্সিলর দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা চলছে। এদিকে আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মহানগর জামায়াতের সদস্য (রুকন) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এ রুকন সম্মেলন সফল করার জন্যে কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।