লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী এবং লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা গেছে- তিনি লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজ রোডে ১০ শতাংশ জমির ওপর পাঁচ তলা ভবন তৈরি করেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ জমি কিনেছেন। ধানমন্ডিসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি টাকার বিনিময়ে নিজস্ব ব্যক্তিদের টেন্ডার পাইয়ে দিতেন এবং বাজার দখল, বাসস্ট্যান্ড থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাঁদা তুলতেন। তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগে প্রভাব খাটিয়ে নিজ এবং তার পক্ষের অন্য ব্যক্তিদের নামে ও তার ওপর নির্ভরশীলদের নামে প্রচুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুদক আরও জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে নিজ নামে ও তার পরিবার পরিজনের নামে অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০২২ সালে মহিলা সদস্য পদের নির্বাচনের জন্য দাখিল করা নির্বাচনি হলফনামা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তার অতি সামান্য পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিজ নামে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লটের মালিক হয়েছেন। বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নামে বেনামে প্রচুর জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য সঠিক হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।