বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার উদাসীন। মনে হয় যেন তারা বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকবেন। সরকারের প্রধান কাজ ছিল একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেটি করা হয়নি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

প্রফেসর কে আলী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ : পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সমগ্র বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ক্ষমতায় থাকুন সমস্যা নেই। তবে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন আপনারা ঘটান। এটা তো কোনো চাকরি না, আপনাদের দেশ গঠন করতে হবে। এমনই একটা দুর্বল সরকারে আনসার পর্যন্ত অভ্যুত্থান করতে চায়। সুতরাং আমাদের অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনগণের নির্বাচিত একটি সরকার প্রয়োজন। তিনি বলেন, এ সরকারের কর্মকান্ডে আমরা কিছুটা হতাশ। তাদের এক একজন চার-পাঁচটা মন্ত্রণালয় নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু সেখানে কোনো কাজ দেখছি না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এখনো পর্যন্ত কোনো হসপিটালে যাননি। অসংখ্য ছাত্র চিকিৎসা পাচ্ছে না। এ সরকারের প্রথম কাজ ছিল যারা হতাহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই ৫ লাখ টাকা তো কোনো টাকাই না! এদের অন্তত ৫ কোটি করে টাকা দেওয়া উচিত ছিল। প্রত্যেকটা পরিবারকে ভাতা দেওয়া উচিত। এ পরিবারগুলো যদি হারিয়ে যায়, মিলিয়ে যায় তাহলে এটা আমাদের জন্য একটা লজ্জার বিষয় হবে। যারা জীবন দিয়ে আমাদের নতুন একটা দেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা সব সময় থাকতে হবে।

মেজর হাফিজ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্তই থাকবে। এই দুর্বল সরকার এটা কি ঠিক করতে পারবে না। একটা শক্তিশালী সরকার যদি দেশে আসে; জনগণের নির্বাচিত সরকার তাহলে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে তারা সক্ষম হবে। 

মেজর হাফিজ বলেন, বাংলাদেশের দিকে তাকালে মনে হয় না এখানে একটি বিপ্লব হয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো, বর্তমান যে সরকারকে আমরা বসিয়েছি তাদের অনেকের মধ্যেই বিপ্লবী চেতনা নেই। এরা বিপ্লবকে ধারণ করে না। তাদের জন্য এটা হলো একটা চাকরি। এদের মধ্যে কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে দল গোছানোর কথা বলে। আবার এ সরকার একটা রোডম্যাপ এখনো পর্যন্ত দেয়নি।