ঘুষ না পেয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল গাফ্ফারের বিরুদ্ধে নয় শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষ শিক্ষকদের কাছে ৫২ লাখ টাকা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষকরা। তবে শিক্ষকদের এফিডেভিটে অধ্যক্ষের ‘ঘুষ’ দাবির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
শিক্ষকদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলেজের অনুদানের ২২ লাখ ৫ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করেন অধ্যক্ষ আবদুল গাফ্ফার। ২০১৯ সালের এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর কলেজ পরিচালনা কমিটি তাঁকে বরখাস্ত করে। পরে স্থানীয় এমপি (সাবেক) ওমর ফারুক চৌধুরীর হস্তক্ষেপে এফিডেভিটের মাধ্যমে অনুদানের অর্থ ফেরতসহ নিজের দোষ স্বীকার করে পুনরায় অধ্যক্ষ পদে ফিরে আসেন তিনি।
অধ্যক্ষ নিজেকে নিঃস্ব দাবি করে গত পাঁচ বছরেও কলেজ তহবিলে ২২ লাখ টাকা জমা দেননি। উল্টো ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কলেজের নয় শিক্ষক ও পাঁচ কর্মচারীর কাছে ৫২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ২৯ আগস্ট নয় শিক্ষককে সরাসরি বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়। বরখাস্তের চিঠি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হুদা, সিনিয়র প্রভাষক মর্জিনা খাতুন, তরিকুল ইসলাম, শরিয়ত আলী, প্রভাষক জহুরা আকতার, রাবেয়া পারভীন, রোকেয়া খাতুন, হোসনে আরা ও শরীরচর্চা শিক্ষক জালাল উদ্দীন। ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নয় শিক্ষক ও পাঁচ কর্মচারীর বেতন। অধ্যক্ষ এখানেই থেমে থাকেননি। সরকার পতনের পর একটি এফিডেভিট করেন নিজেকে নির্দোষ সাজিয়ে। তাতে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের এফিডেভিটটি জোর করে তাঁকে দিয়ে করা হয়েছিল। তিনি কোনো টাকা আত্মসাৎ করেনি।এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ আবদুল গাফ্ফারের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও রিসিভ করেননি। মেসেজ দেওয়া হলেও সাড়া দেননি। তবে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর শিক্ষকদের কয়েকজনের স্বাক্ষরে একটি এফিডেভিট পাওয়া যায়। তাতে অধ্যক্ষ অর্থ দাবি করেননি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।