জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার এসেছে। তাদের আগে রাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্য সংস্কার করতে হবে। পরে নির্বাচন করতে হবে। বিগত সরকার জামায়াতকে চাপিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও বরং জামায়াতের অগ্রগতি আগের চেয়েও বেশি হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য ও বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আবদুল জব্বার, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক ও বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস শেখ নেয়ামুল করীম। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ফরিদুল হকের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট বি এম আমিনুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল হাই, শুরা সদস্য মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সদর আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান, পৌর আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান তালুকদার, নলছিটি আমির মাওলানা শামসুল হক, রাজাপুর আমির মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন, কাঁঠালিয়া আমির মাস্টার মজিবুর রহমান। প্রধান অতিথি ছাত্রদের অবদান স্বীকার করে বলেন, দাবি আদায়ে ছাত্ররা যখন মাঠে নামেন তখন আওয়ামী লীগ ঠাট্টা, বিদ্রুপ ও কটাক্ষ করে কথা বলে ছাত্রলীগ-পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করে। হত্যার কবল থেকে শিশুও রেহাই পায়নি। তবু অধিকারের আন্দোলন থেকে ছাত্ররা একচুল পরিমাণও সরে যাননি। এর কারণেই ন্যক্কার জনকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। ৪৫ মিনিটের আলটিমেটামে অল্প সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানান জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা।