বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমাদের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। কোনো জাতিকে ওপরে উঠতে গেলে শিক্ষার বিকল্প নেই। গতকাল রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট এ সমাবেশের আয়োজন করে। জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর প্রমুখ। জোটের মহাসচিব চৌধুরী মুগিস উদ্দিন মাহমুদ সঞ্চালনা করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, পারিবারিকভাবে আমরা শিক্ষক পরিবার। আমার বাবা, আমি, আমার বড় বোন, আমার ছোট বোনও শিক্ষকতা করেছি। আমাদের পরিবারের ৯০ শতাংশ মানুষ শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। এ কারণে শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করি না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করলে সমস্যার সমাধান হবে না। শিক্ষাব্যবস্থা এমন জায়গায় চলে গেছে, সে শিক্ষাব্যবস্থায় জাতির উন্নয়নে যে হিউম্যান রিসোর্স দরকার, সেটা আমরা তৈরি করতে পারিনি। আমাদের ছেলেরা যেভাবে লেখাপড়া শেষে পাস করে, তাতে একটি শুদ্ধ বাংলা লিখতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন পরিবর্তনের যে ধারা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে যদি পরিবর্তন করতে না পারি, সেটা জাতির জন্য চরম হতাশার। আগে শিল্পকারখানা সব জাতীয়করণ করা হয়েছিল কিন্তু সেটা আবার পুনরায় বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, এটা কেরানির চাকরির মতো। যারা একটি চাকরির জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের কয়েক লাখ টাকা দিয়েছেন। এটা কি ঠিক হলো? এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অনেক দেরি করেছি আমরা।নুরুল হক নূর বলেন, আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছি। কিন্তু মানসিকতা পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কার কাজে আসবে না। শিক্ষকতাকে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, বাংলাদেশে গত ৫৩ বছরে শিক্ষকরা মর্যাদা পাননি। নবম পে-স্কেল গঠন করতে হবে। শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে হবে।