দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ড. ইউনূস একজন বিশ্বনন্দিত ভালো লোক। তবে প্রশাসন পরিচালনায় তাঁর আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। সংস্কারের জন্য অনন্তকাল সময় দেওয়া যায় না। নির্বাচন বিলম্ব হলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। তাই নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার এবং দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই। গতকাল এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদের সংসদীয় বিতর্কে বিজয়ী হন কবি নজরুল সরকারি কলেজের বিতার্কিকরা। প্রতিপক্ষ ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
মতিউর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, সংবিধান পুনর্লিখন নয়, সংস্কার করা যেতে পারে। পুনর্লিখন করলে বিপদ হবে। তবে দেশে সেনাশাসন আসার কোনো শঙ্কা নেই। সেনাশাসন হলে উন্নয়ন সহযোগীরা সহায়তা বন্ধ করে দেবে। যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সেনাশাসনের বিপক্ষে। তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডে র সঙ্গে জড়িতদের বিচার বিলম্ব হলে ফ্যাসিস্টরা আবার ফিরে আসার ঝুঁকি রয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকান্ডে র বিচার প্রাপ্তিতেও সংশয় রয়েছে। বিপ্লব ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে। আর বাংলাদেশ ব্যর্থ হলে আমরা অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হব।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য একটা যৌক্তিক সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া উচিত। তা না হলে ছাত্র-জনতা যে ম্যান্ডেট দিয়ে বর্তমান সরকারকে দায়িত্ব প্রদান করেছে সেই কাক্সিক্ষত লক্ষ্য সরকার অর্জন করতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়লে অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে।