সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রাতিষ্ঠানিক সিন্ডিকেটসহ চার কারণে বাড়ছে ডিমের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম, প্রাতিষ্ঠানিক খামারিদের সিন্ডিকেট এবং অন্য জেলায় এখানকার ডিম চলে যাওয়ায় বাড়ছে দাম। ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না ডিমের বাজার। রংপুর পোলট্রি মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ডিম উৎপাদনে প্রান্তিক ও বড়  খামার রয়েছে ১০০টির বেশি। প্রতিদিন এসব খামারে ডিম উৎপাদন হয় ৩ লাখ পিস। চাহিদা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ পিস।  উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় বাজারে ডিমের দাম বাড়ছে। এ ছাড়া শাকসবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ডিমের প্রতি ঝুঁকে পড়ায় দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। জেলায় ডিম ও মাংস উৎপাদনের প্রান্তিক খামার রয়েছে প্রায় ১ হাজার। ডিম উৎপাদনের প্রান্তিক খামার রয়েছে প্রায় ১০০টি এবং মাংস উৎপাদনের খামার ৯ শতাধিক। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক খামার রয়েছে ৩/৪টি। এসব খামারে প্রতিদিন ৩ লাখ পিসের বেশি ডিম উৎপাদন হয়। বর্তমানে প্রতিটি ডিম উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ১০ টাকা ৩০ পয়সার ওপরে। বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৮০ পয়সা। সেই ডিম খুচরা পর্যায়ে এসে বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকার ওপরে। ফলে ডিমের দাম কমছে না। তবে খুচরা ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক খামারিরা বলছেন. হাতে গোনা ৩/৪টি প্রাতিষ্ঠানিক খামারের মালিকরা ডিমের দাম বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।

এদিকে শনিবার ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রংপুরের বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে। ভোক্তার অভিযান হলেও বাজারে ডিমের দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। জেলা পোলট্রি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরমানুর রহমান লিংকন জানান, শাকসবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ করে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। রংপুরে যে পরিমাণ ডিম উৎপাদন হয় তা দিয়ে এখানকার মানুষের চাহিদা মিটে যাওয়ার কথা। কিন্তু অন্যান্য জেলাগুলো থেকে পাইকাররা এসে রংপুর থেকে ডিম নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তিনি আশা করেন শাকসবজির দাম কমলে ডিমের দামও কমবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর