বরিশাল নগরীর ৩০ ওয়ার্ডের নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে ২৬ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেননি তারা। কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনেক ওয়ার্ডে কার্যালয়ও নেওয়া হয়নি। কর্মকর্তারাও তাদের দায়িত্ব পালন নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, কীভাবে দায়িত্ব পালন করা হবে সে বিষয়ে কোনো ধরনের ব্রিফ করা হয়নি। দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছি। আরেক কর্মকর্তা বলেন, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়। আমাদেরও কক্ষ ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সব সচিবকে কক্ষ ভাড়া নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলরের কক্ষ রয়েছে, সেখানে সচিবদের অফিস করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। সবকিছু পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করতে আরও অন্তত ৮/১০ দিন সময় লাগবে। নিজেদের দায়িত্বের পর সুবিধামতো সময়ে কিংবা বিকাল থেকে দুই তিন ঘণ্টা সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে কক্ষ ভাড়া নেওয়ার জন্য অগ্রিম কে দেবে, কার্যালয়ের নাম কী হবে, সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের সচিবরা কী করবেন এ নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কর্মকর্তারা বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তারের কাছে উপস্থাপন করেছেন। তিনি অসুস্থ থাকায় পরে জানানোর সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্র আরও জানিয়েছে, জাতীয়তা ও চারিত্রিক এবং উত্তরাধিকার সনদ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জন্য নির্দেশে ২৬ কর্মকর্তাকে ৩০টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে গিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সিটি করপোরেশনের প্রথম শ্রেণির ২৬ কর্মকর্তার মধ্যে চারজনকে দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- সিভিলের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মোতালেবকে ২২ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড, নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুককে ১৮ ও ২১, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) লুৎফর রহমানকে ১ ও ২ এবং রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদারকে ৬ ও ৮ নম্বরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবিরকে ২২ নম্বর ওয়ার্ড, নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুমুল হাকিমকে ১৯, নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশারকে ২৮, বাজেম কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে ১৫, ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম শুভ্রকে ২৩, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামকে ১৬, পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ইউসুফ আলীকে ৩০, সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমানকে ৯, উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল আলমকে ১৪, উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ ২৬, উপসহকারী প্রকৌশলী এইচ এম কামাল লোহানী ৪, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মামুন অর রশিদ ১২, উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ২৪, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ১৩, উপসহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম ১১, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ার হোসেন খান ৩, উপসহকারী প্রকৌশলী ছাইদুর রহমান খান ২৭, উপসহকারী প্রকৌশলী আরাফাত হোসেন মনির ১৭, জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসানউদ্দিন রোমেল ১০, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান ৫, সহকারী পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২৬ ও কর কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করবেন। এ বিষয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল বলেন, কাউকে কাউন্সিলরের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শুধু নাগরিক জরুরি সেবা অব্যাহত রাখার দায়িত্ব পালন করবেন। খুব শিগগির তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।