খুলনায় সড়কের ধারণক্ষমতা বিবেচনায় খুলনা সিটি করপোরেশন শহরে চলাচলের জন্য ৮ হাজার ইজিবাইককে নিবন্ধন দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে চলাচল করে ১৫-২০ হাজার। এর বাইরে ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্যে যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। এ কারণে যানজট এড়াতে শহরের বাইরের ইজিবাইক শহরে প্রবেশ বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ ও ছাত্র-জনতা।
গতকাল সকাল থেকে তারা গল্লামারী মোড়ে যৌথভাবে ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করে। মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাইরের ইজিবাইক শহরে ঢুকতে পারবে না। নগরীর প্রবেশপথগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ ইজিবাইক বন্ধের জন্য ইতোমধ্যে মাইকিং করা হয়েছে। যারা নিয়ম মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রধান ট্রাফিক কন্ট্রোলিং সমন্বয়ক মো. নাঈম মল্লিক বলেন, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর খুলনা মহানগর সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মুন্না জানান, শহরে যানজট কমাতে দিনে ও রাতে দুই শিফটে ইজিবাইক চলাচলের ব্যবস্থা করা যায়। প্রয়োজনে দিনে সবুজ রঙের ইজিবাইক ও রাতে লাল রঙের ইজিবাইক চলাচল করলে যানজট কমানো যাবে।