সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ-যুবলীগের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারা হলেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি শাকিল হোসেন, পল্লবী থানার ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম এবং ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আকবর হোসেন জনি।

পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোডে মিনা বাজারের সামনে ও আশপাশ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে সাহেদ আলীসহ (২৭) অনেক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হন। এ বিষয়ে সাহেদের ভাই শরিফ গত ৩ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার এজহারনামীয় আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

পরে মধুবাজারের হাজী আক্তার হোসেন রোডে শাকিলের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি পিস্তল, ১ রাউন্ড রিভলবারের গুলিসহ ১টি রিভলবার, ১ রাউন্ড ব্যবহৃত রিভলবারের গুলির খোসা, ২টি চাপাতি, ২টি বড় ছোরা ও ১টি রামদা উদ্ধার করা হয়।

এদিকে গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের আবাহনী মাঠের বিপরীত পাশে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে হাসনাইন আহমেদ নামে একজন নিহত হন। ওই ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায়ও শাকিল এজাহারনামীয় আসামি।

শনিবার রাতে পল্লবী থেকে মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম ও আকবর হোসেন জনিকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানা পুলিশ। গত ৪ আগস্ট বিকালে মিরপুর-১০ বাসস্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে মো. ইমন হোসেন আকাশ। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলিতে ইমন মারা যায়। এ ঘটনায় ইমনের মা বাদী হয়ে ২৭ আগস্ট পল্লবী থানায় মামলা করেন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দ্বীন ইসলাম জনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর