‘যারা এত দিন গুম-খুন আর আয়নাঘরের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল, তারা যদি পুনর্বাসিত হয় তাহলে এ দেশে আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না’ এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, কেউ কেউ যখন স্বৈরাচার পুনর্বাসনের কথা বলেন, তখন বিপজ্জনক বার্তা যায় জনগণের কাছে। পতিত স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসিত হলে এ দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি। এখানে গণতন্ত্র, কথা বলা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চিরদিনের জন্য গোরস্থানে চলে যাবে। গতকাল রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
পতিত স্বৈরাচারের সহযোগী পুলিশ কর্মকর্তাদের এখনো বিভিন্ন জায়গায় পদায়নের সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, যারা গুম-খুন, আয়নাঘরের সংস্কৃতি চালু করেছিল, গণতন্ত্রকামী মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল, মেরে হাত-পা ভেঙে দিয়েছিল, জীবন কেড়ে নিয়েছিল, সেসব পুলিশ কর্মকর্তাকে পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে কাউকে গুলশানে, কাউকে মিরপুরে, কাউকে আজিমপুরে। এটাই যদি উদ্দেশ্য হয় এই অন্তর্বর্তী সরকারের, তাহলে ছাত্র-জনতার এ আত্মত্যাগের কী হবে। বিতর্কিত একজন কর্মকর্তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রদূত কাতারে ছিলেন... কাতারে (প্রবাসী) কারও যদি ভিসার মেয়াদ শেষ হতো, সেগুলো তিনি নবায়ন করতেন না। তিনি (রাষ্ট্রদূত) খবর নিতেন ওইসব লোক কোন দল করে, কাদের সমর্থক? কারণ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অধিকাংশ প্রবাসী বিএনপির সমর্থক। তাদের তিনি (রাষ্ট্রদূত) নানাভাবে হয়রানি করেছেন। সেই লোককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে বলে শুনতে পারছি। তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার কাদের পুনর্বাসন করছে? যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, যারা শহীদের আত্মদান ও রক্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তাদের? প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে বিএনপি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এ জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শুরু করে।
