বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি

♦ দুর্গম এলাকায় ত্রাণসংকট, লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি ♦ ময়মনসিংহ, শেরপুর নেত্রকোনায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও অনেক গ্রাম

প্রতিদিন ডেস্ক

বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হয়েছে। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় কংস ও নেতাই নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৩০টি গ্রাম। টানা পাঁচ দিনের পানিতে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। পানিবন্দি হয়ে আছেন ২ লক্ষাধিক মানুষ।

শেরপুরে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কমছে। নকলা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উন্নতি হয়েছে ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায়। নালিতাবাড়ী ও শেরপুর সদর উপজেলার বেশ কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। ত্রাণ তৎপরতা চললেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলছে খাদ্যসংকট। এদিকে গতকাল ভোরে নকলার টালকি ইউনিয়নে পাঁচ বছরের এক শিশু মারা গেছে। এ নিয়ে বন্যায় নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নেত্রকোনায় কংস নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে মগড়া ধনাইখালীসহ অন্যান্য নদীর পানি। নেত্রকোনায় পানিতে ডুবে এক বৃদ্ধ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হয়েছে। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় কংস ও নেতাই নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা পাঁচ দিনের পানিতে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। পানিবন্দি হয়ে আছেন ২ লক্ষাধিক মানুষ। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে রান্নাবান্না। কংস নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা ধোবাউড়া উপজেলার আইলাতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পে পানি ওঠায় দুর্ভোগ বেড়েছে বাসিন্দাদের। সিংহেশ্বর, ফুলপুর সদর ও বালিয়া ইউনিয়নের ১৬টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলাটিতে ৩৫ গ্রামে অন্তত ২৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। পাহাড়ি ঢলে হালুয়াঘাট পৌর এলাকাসহ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে পানি ছড়িয়ে পড়ে। তবে উপজেলার ধারা, নড়াইল, বিলডোরা, ধুরাইল, আমতৈল, স্বদেশি ও শাকুয়াই ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে। পুরো এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যসংকট রয়েছে। ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত শারমিন জানান, নতুন করে কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শেরপুর : শেরপুরে বন্যার কোথাও উন্নতি, কোথাও স্থিতিশীল আবার কোথাও অবনতি হয়েছে। মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কমছে। নকলা উপজেলা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নালিতাবাড়ী উপজেলা ও শেরপুর সদর উপজেলার বেশ কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।

ত্রাণ তৎপরতা চলছে। এদিকে গতকাল ভোরে নকলা উপজেলার টালকি ইউনিয়নে পাঁচ বছরের এক শিশু মারা গেছে। জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে।

নেত্রকোনা : ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবে ষাটোর্ধ রুসমত খান (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে সড়কের ওপর জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। বৃদ্ধ রুসমত খান ওই গ্রামের মৃত আক্তার খানের ছেলে। এদিকে কংস নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে মগড়া ধনাইখালীসহ অন্য নদীগুলোর পানি। পানিতে তলিয়ে যাওয়া চার উপজেলার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ সোমবার পর্যন্ত পানিবন্দি থাকলেও অনেক এলাকার পানি নামতে শুরু করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর