আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা কোন পথ দিয়ে, কার ইঙ্গিতে দেশ থেকে পালাল তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান। বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘ড. ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ করতে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এবং শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত সচিবসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের ক্যাডারদের বহিষ্কারের’ দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, রাষ্ট্রপতিসহ সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে যখন শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা বসে থাকে, তখন শহীদ আবু সাইদ-মুগ্ধের কথা ভেবে চোখে পানি চলে আসে। শেখ হাসিনার প্রেত্মাতারা এখনো সক্রিয়, ষড়যন্ত্রের গন্ধ আমাদের নাকে আসে। এই ষড়যন্ত্র থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বের হতে হবে।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে ফারুক বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেন। তার কতজন লোককে গ্রেপ্তার করেছেন? বিদেশে বসে খুনি যারা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, জনগণের চাওয়া তাদের দেশে এনে বিচার করুন। ৪৬০ থানার ওসিদের আইনের আওতায় আনুন, তারা বলতে পারবেন, কোথায় আছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের অবৈধ অস্ত্র। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছিল। লাখো মায়ের বুক খালি করা হাসিনার বক্তব্য কেন ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে? আওয়ামী শাসনামলে আমাদের নেতা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রচার করতে পারেনি কোনো গণমাধ্যম। খুনি শেখ হাসিনা ও তার ছেলে জয়ের বক্তব্য কীভাবে গণমাধ্যমে আসে, তা জনগণ জানতে চায়।
ফারুক আরও বলেন, ডিবি হারুন ও বিপ্লব কুমার সরকারের অত্যাচারের কথা মনে পড়লে এখনো চোখে পানি চলে আসে। দেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মুক্তিযুদ্ধ করলেও শেখ হাসিনা বলতেন, এই দেশ স্বাধীন করেছেন তার বাবা। এটি তার বাবার দেশ। এ অহংকারের পতন হয়েছে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।