রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

চিহ্নিত হটস্পট নেই উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চিহ্নিত হটস্পট নেই উদ্যোগ

দেশের অন্যান্য বিভাগের মতো চট্টগ্রামেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রাণঘাতী ডেঙ্গু। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এদিকে, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় নগরের সাতটি এলাকাকে এডিস মশায় আক্রান্তের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তরফে কার্যকর ও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ নগরবাসীর। এ অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে, শুক্রবারও চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু রয়েছে। এতে ডেঙ্গু নিয়ে জনমনে আতঙ্ক বেড়েছে। নগরবাসীর অভিযোগ, এডিস মশার বংশ বিস্তার কমানোর লক্ষ্যে চসিকের কার্যকর উদ্যোগ নেই। এতে করে বাড়ছে এ মশার সংখ্যা বৃদ্ধি। ফলে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকিও। কর্তৃপক্ষের তরফে কার্যকর পদক্ষেপের পাশাপাশি নগরবাসীর মাঝে সচেতনতা তৈরিও জরুরি বলে অভিমত তাদের।

এ ব্যাপারে চসিকের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী দাবি করেন, নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়ম মেনে প্রতিদিনই মশকনিধন কর্মসূচি চলমান আছে। তাছাড়া মশা নিধনের ওষুধ ও ¯ন্ডেপ্র ম্যানও পর্যাপ্ত আছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এডিশ মশার উৎপাদন ও সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে চসিককে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতোমধ্যে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে নগরের ৪১টি ওয়ার্ড আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে লাল, হলুদ, নীল ও সবুজ রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে নগরের সাতটি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো কোতোয়ালি, বাকলিয়া, বায়েজিদ, বন্দর, পাহাড়তলী, খুলশী ও চকবাজার। এ ছাড়া নগরীর পাঁচটি এলাকাকে হলুদ, সাতটি এলাকাকে নীল এবং চারটি এলাকাকে সবুজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ৫১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্যের ভিত্তিতে এ তালিকা করা হয়। 

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিভাগে শুক্রবার একজনসহ চলতি বছর ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ চারজন, মহিলা ১১ জন ও শিশু দুজন। আর বিভাগে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২ হাজার ৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ১৫৫ জন, মহিলা ৫৬৭ ও শিশু ৩৬১ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর