জনতার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম সবুজ খান বলেছেন, জনগণের প্রয়োজনেই সংস্কার প্রয়োজন আবার সংস্কারের প্রধান অন্তরায় জনগণই। অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার করতে পারবে, তা নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার করতে পারবে না। কিন্তু সংস্কার দৃশ্যমান হোক। এতে জনগণের মনে প্রশান্তি আসবে। যে জনগণ অন্তরায় সেই জনগণই আপনাকে ভালোবাসবে যদি সংস্কার দৃশ্যমান এবং প্রাসঙ্গিক হয়। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি চাচ্ছে দ্রুত নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন তারা। তিনি বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর-জুনের মধ্যে নির্বাচন। আমার মতে, প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনও প্রয়োজন, সংস্কারও প্রয়োজন। বাস্তবতা হলো পলিটিক্যাল লিডাররা ক্ষমতায় এলে কাক্সিক্ষত সংস্কার হবে না। তাদের অবস্থান থেকে নানা দিক বিবেচনায় রাখতে হয়। ভক্ত-সমর্থকদের কথা শুনতে হবে। তবে নেতাদের হওয়া উচিত এমন- যে আমি প্রয়োজনে ক্ষমতা ছেড়ে দেব কিন্তু ব্যক্তিগত কারও অন্যায় দাবিকে প্রাধান্য দেবে না। কিন্তু আমরা যারা রাজনীতি করি, আমরা আমাদের স্বার্থে তা ব্যবহার করি। ফলে আমাদের অনেক অন্যায় আবদার রাখতে হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, বিএনপির প্রার্থীরা প্রস্তুত নির্বাচনের জন্য। তাই তারা এখন দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছে। এখন যত বিলম্ব হবে ততই কোন্দল বেড়ে যাবে। নানা কর্মকাণ্ডে তারা পিছিয়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশের বড় দল হিসেবে বিএনপি নির্বাচন চাইতেই পারে। এটা যৌক্তিক। প্রতিটি দলের এ ক্ষেত্রে আলাদা মত রয়েছে। বাংলাদেশ জনতা পার্টি দ্রুত নির্বাচন চায়। তবে দৃশ্যমান সংস্কারও চায়। অনেক ক্ষেত্রেই সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন সফিকুল ইসলাম সবুজ খান। তিনি বলেন, সবার আগে প্রয়োজন রাস্তাঘাটের অনিয়ম দূর করা। এই বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এতে করে যাতায়াতে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। রাস্তাঘাট, ফুটপাত দখল করে আছে যে যার মতো হকাররা। যানজটের প্রধান অন্তরায় যেমন রিকশা। আগে হকার-রিকশাচালকদের কর্মসংস্থানের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমান সরকার নির্বাচিত হয়ে আসার প্রয়োজন নেই। ফলে উল্লেখযোগ্য সাহসী প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে পারবে এ সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে অনেক মানুষ চাচ্ছে এ সরকার আরও কিছুদিন থাকুক। প্রধান উপদেষ্টাকে সময় দিতে চাচ্ছে মানুষ।