রাজধানীতে একই দিনে বর্ধিত সভা করেছে জাতীয় পার্টির দুটি অংশ। গতকাল জাপার জি এম কাদেরের অংশ দলের বনানী কার্যালয়ে এবং একই সময় রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন অংশ সেগুনবাগিচার জেকে টাওয়ারে বর্ধিত সভা করে।
বনানীর সভায় সভাপতিত্ব করেন জি এম কাদের। এ অংশের কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ শীর্ষনেতারা বক্তব্য দেন।
অন্যদিকে সেগুনবাগিচার সভায় সভাপতিত্ব করেন এ অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ। এতে কো-চেয়ারম্যান সুনীল শুভ রায়, সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিক, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বক্তব্য দেন।
জি এম কাদের আগামী সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং নিয়ে শঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আগামীতে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনি প্রচার চালাতে পারব কি না, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে কি না তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। একতরফা নির্বাচন করে দেশ ও জনগণের কোনো উপকার হবে না।’
কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘পল্লীবন্ধু এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে চেয়ারম্যান পদ দখল করেন জি এম কাদের। নেতা-কর্মীরা তাঁকে এ পদে কখনোই দেখতে চাননি। আজ জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তার শুধু জনগণের নয়, দলীয় নেতা-কর্মীদেরও প্রধান দাবিতে পরিণত হয়েছে।’