রাজধানীতে পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ছাড়া গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, শাহবাগসহ কয়েকটি স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এদিকে খুলনা নগরীর কয়েকটি স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জিরো পয়েন্টে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখার ব্যানারে মিছিল হয়। মিছিলের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জলিল সরণি থেকে একজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ। অন্যদিকে প্রশাসনের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) খুলনা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে দলটি।
এ সময় বক্তব্যে এনসিপি খুলনার নেতা আহম্মদ হামীম রাহাত ও ডা. আবদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতা রাজপথে অবস্থানকালে এই সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রাস্তায় নামতে সাহস পায়নি। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে ছাত্র-জনতা ফিরে যাওয়ার পর দেশবাসী প্রায়ই এমন অরাজকতার শিকার হয়েছে। তারা বলেন, আট মাস আগে যে জিরো পয়েন্টে ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে, সেখানে পরাজিত শক্তির এমন আস্ফালন পীড়া দেয়। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নবিদ্ধ। এটি শুধু স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়, বরং গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থায় নিয়োজিত প্রশাসনের দুর্বলতার প্রতিফলন।
জানা যায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খুলনায় এটাই আওয়ামী লীগের প্রথম কর্মসূচি। মিছিলে নানান ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়। তবে এ মিছিলে আওয়ামী লীগের প্রথম সারির কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, ‘হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমেই কিছু লোক আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে যায়। সকালের দিকে রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। পুলিশ মিছিলকারীদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা করছে।’