দেশে ভূমিসংক্রান্ত অমীমাংসিত ৪০ লাখ মামলা রয়েছে। কৃষিজমির সুরক্ষায় এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি এবং খাস জমির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ করা, ভূমি ব্যাংকসহ অন্যান্য নাগরিক সেবায় অধিকার প্রতিষ্ঠায় কৃষি ও ভূমিসংস্কারে ৩৬টি প্রস্তাবনা দিয়েছে ভূমি ও মানবাধিকারভিত্তিক ১৩ সংগঠন। এ ছাড়া সংস্কার কমিশনের দাবির সমর্থনে ৯০ হাজার কৃষিজীবী মানুষের স্বাক্ষরসংবলিত আবেদনও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে জানান বক্তারা।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ‘সার্বিক ভূমি ও কৃষিসংস্কার বিষয়ক নাগরিক প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এ সময় নিজেরা করি, বারসিক, টিআইবি ও ব্লাস্টসহ মোট ১৩টি সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এএলআরডির চেয়ারপারসন খুশি কবির বলেন, ভূমি ও কৃষিসংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোয় সংস্কার কমিশন গঠিত হওয়া উচিত। তবে আমরা আশাবাদী ১২টি সংস্কার কমিশনের পরবর্তী সংস্কার কমিশন হিসেবে ভূমি ও কৃষিজমি সংস্কার কমিশন গঠিত হবে। অন্যান্য সংস্কারের মতো এ সংস্কার কমিশনও যদি গঠিত হয়, তাহলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য ভূমি ও কৃষি নিয়ে কার্যক্রমের পথ সুগম হবে।
এরআগে লিখিত বক্তব্যে শামসুল হুদা বলেন, বাংলাদেশে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে কৃষি ও ভূমিসংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা সেই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আশু করণীয়গুলো উত্থাপন করেছি। বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, ৩৬টি দাবি নিয়ে আমরা একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছি, যেখানে ভূমি ও কৃষি খাতে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত বিষয়গুলো উঠে এসেছে। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সংকটগুলো তুলে ধরে তা সমাধানের জন্য এ প্রচেষ্টা। ব্লাস্টের পরিচালক অ্যাডভোকেট বরকত আলী বলেন, বাংলাদেশে ৭২-৭৫ শতাংশ মামলা ভূমিসংক্রান্ত। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা বিদ্যমান। এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সংস্কারের আওতায় আনা প্রয়োজন। পাশাপাশি যেসব মানুষ ভূমিহীন রয়েছে, তাদের খাসজমি প্রদানের মাধ্যমে ভূমির ব্যবস্থা করে দেওয়া দরকার।