১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৫৩

সীমান্তবর্তী মানুষের যাওয়া-আসা রংপুরে ওমিক্রনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

সীমান্তবর্তী মানুষের যাওয়া-আসা রংপুরে ওমিক্রনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

প্রতীকী ছবি

সীমান্তবর্তী মানুষের যাওয়া-আসা রংপুরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজনের সংস্পর্শে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধাসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে রংপুরে আসা-যাওয়া করছেন। সীমান্তে বৈধ পথের পাশাপাশি অবৈধ পথেও মানুষের যাতায়াত রয়েছে। তাদের মাধ্যমেও করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, রংপুর বিভাগে ৫টি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মানুষের যাতায়াত রয়েছে। বন্দরগুলো হলো-লালমনিরহাটের বুড়িমারী, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা, দিনাজপুরের হিলি ও রাধিকাপুর এবং কুড়িগ্রামের রৌমারীর তুরারোড। এসব সীমান্ত দিয়ে বৈধ পথে মানুষজন চলাচল করছে। এসব মানুষ সীমান্ত এলাকার মানুষজনের সাথে মেলামেশা করছেন। বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন চিকিৎসাসহ হাজারের বেশি মানুষ রংপুর নগরীতে আসছে। তাদের মাধ্যমে ওমিক্রণ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে-এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

রবিবার রংপুরে করোনা শনাক্তের হার ছিল ২ দশমি ৪৬ শতাংশ। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্তে ৪৫ জনের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এর মধ্যে বুড়িমারী বন্দরে আটজন, বাংলাবান্ধা বন্দরে ৩১ জন এবং হিলি বন্দরে ছয়জন। এখন পর্যন্ত ৫২ হাজার ৬৬৯ জনের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। 

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা, জাকিরুল ইসলাম লেলিন জানান, সীমান্ত দিয়ে যাতে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী আসতে না পারে, এজন্য সীমান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর