করোনার আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের পরে এবার ‘নিওকোভ’ নামে করোনার আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। যেটি পূর্বের সব ধরণগুলোর থেকে বেশি প্রাণঘাতী। চীনের গবেষকদের দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের মধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে নিওকোভ নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইন।
চীনের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সার্স-কোভ-২ বা মূল করোনাভাইরাসের একটি রূপান্তরিত ধরনের সন্ধান পেয়েছেন। নতুন এই ভাইরাসটির বৈজ্ঞানিক নাম পিডিএফ-২১৮০-কোভ, তবে সাধারণভাবে এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিও কোভ’।তারা বলছেন, মূল করোনাভাইরাস ও সেটির যতগুলো রূপান্তরিত ধরন এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে, সেসবের মধ্যে নিউকোভ সবচেয়ে সংক্রামক ও প্রাণঘাতী। তবে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু বাদুড়ের মধ্যে। কোনো মানুষ এটির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন- এমন তথ্য এখনও নেই।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সার্স ভাইরাসের বৃহৎ পরিবারের একটি সদস্য হলো সার্স-কোভ-২ বা মূল করোনভাইরাস। এই ভাইরাস পরিবারের সদস্যরা সাধারণ ঠাণ্ডাজ্বর থেকে শুরু করে প্রাণঘাতী গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাও সৃষ্টি করতে সক্ষম।’
‘এই পরিবারের নতুন যে ভাইরাসটির নাম এখন এসেছে- সেই নিওকোভ নিয়ে আরও বিস্তৃত গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে ডব্লিউএইচও। একমাত্র তাহলেই বোঝা যাবে- এই ভাইরাসটি আদৌ কী পরিমাণ প্রাণঘাতী হতে পারে।’
নতুন এই ধরনটি শনাক্তের জন্য উহানের গবেষকদের ধন্যবাদও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ