ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সঙ্গে ভাতা বিতরণবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে এখন থেকে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তি ও অন্যান্য ভাতাভোগীরা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে তাদের ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন।
সম্প্রতি হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যালয়ে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। এসময় 'নগদ’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, 'নগদ’র হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাওসার সওকত আলী (অব.) ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স স্কোয়াড্রন লিডার আসমা আলমগীর (অব.) উপস্থিত ছিলেন।এই চুক্তির ফলে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আগের মতো ম্যানুয়ালি ভাতা বিতরণ করতে হবে না। এখন থেকে স্বল্প খরচে ও কম সময়ে ডিজিটালি ভাতাভোগীদের কাছে তাদের ভাতা পৌঁছে যাবে 'নগদ’র মাধ্যমে।
এই চুক্তি সম্পর্কে ‘নগদ’র নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, ‘নগদ’ সরকারি বিভিন্ন সেবা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শুরু থেকে কাজ করছে। রাষ্ট্রের একটি সেবা হিসেবে আমরা হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সঙ্গে থাকতে পেরে আনন্দিত।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উপ-সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, মঠ- মন্দির, পুরোহিত, শিক্ষাবৃত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতাসহ প্রতিবছর হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রায় ৫ থেকে ৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়। এই বিতরণ প্রক্রিয়া একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ‘নগদ’-এর সাথে এই চুক্তির ফলে আমরা সেই সময় বাঁচাতে পারব। এছাড়া ‘নগদ’-এর মাধ্যমে খরচ কম হওয়ায় আমাদের অনেক অর্থ বেঁচে যাবে, যা দিয়ে আমরা ভাতাভোগীদের সংখ্যাও বাড়াতে পারব।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির