১১ এপ্রিল, ২০২২ ০৬:০৪

অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধিতে ভূষিত ড. সালিমুল হককে সংবর্ধনা

অনলাইন ডেস্ক

অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধিতে ভূষিত ড. সালিমুল হককে সংবর্ধনা

ব্রিটিশ সরকারের সম্মানজনক অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) উপাধিতে ভূষিত হওয়ায় বিশিষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সালিমুল হককে সংবর্ধনা দিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)।

রবিবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আইইউবির ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

অধ্যাপক ড. সালিমুল হক বর্তমানে আইইউবিতে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অধ্যাপনার পাশাপাশি, আইইউবি’র ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। 

চলতি বছর ইংরেজি নববর্ষের দিন ড. সালিমুল হককে সম্মানজনক অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) উপাধিতে ভূষিত করে ব্রিটিশ সরকার।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, জলবায়ু প্রতিকূলতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ এই শতাব্দীর একমাত্র দেশ যারা ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান তৈরি করেছে। এই পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় আমরা অধ্যাপক সালিমুল হকের সাথে কাজ করেছি। সেখানে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, অর্ডার এবং অনার্স ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃতি ব্যক্তিদের অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা প্রদান করে থাকে যুক্তরাজ্য। অধ্যাপক সালিমুল হককে ওবিই সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সেই কাজটিই করেছে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, জলবায়ু নিয়ে যেকোনো প্রশ্নে ন্যূনতম পরিবর্তন আনাটাও খুব কঠিন কাজ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলি যে পরিমাণ ক্ষতি এবং ধ্বংসের মুখোমুখি হচ্ছে, সে প্রশ্নে দরকষাকষিতে অধ্যাপক সালিমুল হকের দৃঢ় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্যসচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক এবং বর্তমানে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রফেসর হক সবসময় সিভিএফ'কে সহযোগিতা করেছেন এবং ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিভিএফ এর সমস্ত প্রেসিডেন্সিকে সমর্থন যুগিয়েছেন। সে জন্য সিভিএফ তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। 

আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী বলেন, আজকের তরুণদের অবশ্যই অধ্যাপক সালিমুল হকের মতো কৃতি ব্যক্তিদের দেখে শেখা উচিৎ। কারণ তারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন কিন্তু সেখানখার উন্নত জীবন ছেড়ে ফিরে এসে দেশের সমৃদ্ধিতে অর্থবহ অবদান রাখছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে আইইউবি’র উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন,  আইইউবি শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় ও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন এবং প্রযুক্তিমনা হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে উন্নতির জন্য এসব দক্ষতা অপরিহার্য। আইইউবি’র ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেই মিশনের একটি বিশাল অংশ বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করছে। অধ্যাপক সালিমুল হকের সহযোগিতা এবং গবেষণা আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের শেখার এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। 

অধ্যাপক সালিমুল হক বলেন, আমি বিশ্বাস করি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা এখন বাংলাদেশের আছে। আমরা এখন আর শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার নই। এখন সমস্যা সমাধানের মানসিকতাও বাংলাদেশের আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠেছে।

আইইউবি’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান অুনষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আইইউবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা ছাড়াও, অধ্যাপক ড. সালিমুল হকের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে ড. সালিমুল হকের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন এবং আইইউবি’র সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের উপরে দুটি বিশেষ ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর