১৩ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:৫৯

ঈদের লম্বা ছুটি কীভাবে কাটাবেন?

অনলাইন ডেস্ক

ঈদের লম্বা ছুটি কীভাবে কাটাবেন?

লম্বা ঈদের ছুটি কীভাবে কাটাবেন

রমজান মাসটি সবসময়ই একটু বিশেষভাবে কাটে। রাস্তার আনাচে কানাচের ইফতার বাজার থেকে সারাদিন উড়ে আসে সুস্বাদু জিলাপি, পিয়াজুর ঘ্রাণ। ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝেও আনন্দের আমেজ দেখা যায় মাসজুড়ে। বাড়ির সবাই একসাথে বসে ইফতার আর সেহরি করায় অটুট হয় পারিবারিক বন্ধনগুলো।

সারাদিন না খেয়ে থাকলেও, মনের সন্তুষ্টি ও স্বস্তি বাড়ে এই মাসে। তবে এবারের রমজান মাসটি অন্যবারের থেকে একটু বেশি বরকত নিয়ে এসেছে আমাদের জীবনে। দীর্ঘ সংযমের মাস শেষে ঈদ উদযাপনের ছুটিটাও এবার সুদীর্ঘ। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার ঈদে ৯ দিনের ছুটি মিলতে পারে।ফলে দীর্ঘ ২ বছর পর এবার ঘোরাঘুরির সুযোগ অফুরন্ত। দেশ বিদেশের সীমানা পাড়ি দেওয়ার বিধিনিষেধগুলো উঠে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। তাই লম্বা ছুটিটা শুধু ঘরে বসে না থেকে, কী কী উপায়ে কাটাতে পারেন তা নিয়ে কিছু আইডিয়া নিয়ে এসেছি আমরা।

ঈদের ছুটিতে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারটা নতুন না। করোনা মহামারির উপদ্রবের আগে কয়েক বছর ধরেই মানুষ ঈদ উদযাপন করতে দেশে বিদেশে হরেক রকম জায়গায় ঘুরতে যেতো। তবে এই চর্চায় ব্যাঘাত ঘটে ২০২০ সালে লকডাউনের সাথে সাথে। এর মাঝে কয়েকবার ভ্রমণে যাওয়ার সুযোগ হলেও, তা অনেক বাধা বিপত্তিতে ঘেরা ছিল। বিদেশে ঘুরতে যওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ দেশেই জারি ছিল অনেকগুলো জটিল প্রক্রিয়া। তবে সময়ের সাথে অনেক উন্নতি হয়েছে পরিস্থিতির। করোনাবিষয়ক জটিলতাটা এখন অনেকটাই কমেছে। অল্প ঝামেলায় ঘুরে আসা সম্ভব নেপাল, ভারত, ভুটান, থাইল্যান্ড ইত্যাদি পার্শ্ববর্তী দেশগুলো। প্রয়োজন শুধু ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট এবং নেগেটিভ কোভিড টেস্টরিপোর্ট। তাই এই লম্বা ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন একেবারে বিদেশ থেকেই। 

দীর্ঘ ২ বছরের ভ্রমণের অপূর্ণতাগুলো দূর হয়ে যাবে একটা ট্যুরেই। তবে যাবো বললেই তো ট্যুরের পরিকল্পনা শেষ হয়ে যায় না। বাকি পড়ে থাকে ফ্লাইট বুকিং, হোটেল বুকিং, বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটি খুঁজে বের করা, কাগজপত্র প্রস্তুত করা ইত্যাদি অনেকগুলো ঝামেলার কাজ। এমন একটা ট্যুরে সবাই চাইবে একদম নিজের পছন্দমত পরিকল্পনা করতে। নিজের ভ্রমণের পরিকল্পনাগুলো নিজের হাতে নিতে হলে প্রায়ই একটু বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে এই ঝামেলা অনেক কমানো সম্ভব গোযায়ানএর মাধ্যমে। তাদের প্ল্যাটফর্মে পেয়ে যাবেন যেকোন গন্তব্যের ফ্লাইট ছাড়াও যাওয়ার আগে কোভিড টেস্ট করার ব্যবস্থা। শুধু তাই নয় প্রতিটি দেশের ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধও দেওয়া আছে তাদের প্ল্যাটফর্মে। 

বিশ্বায়নের সাথে সাথে দিন দিন বিদেশ ভ্রমণ আরও সুলভ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই বড় ছুটিটাই সেরা সময় বিদেশ ভ্রমণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের। তবে সিমানার বাইরে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্নটা অনেকেরই সাধ্যের মধ্যে কুলিয়ে ওঠে না। স্বপ্ন সেখানে স্বপ্নই থেকে যায়। কিন্তু ভ্রমণের স্বপ্নে কোনো বাধা থাকা উচিত না। বাধা অতিক্রম করতেই দেখে নিতে পারেন গোযায়ান এর ট্রাভেল লোন প্রোগ্রাম। ৬ মাস পর্যন্ত ০% ই এম আই সুবিধাসহ ৫ হাজার টাকার বেশি যেকোন ভ্রমণ সম্পর্কিত আর্থিক প্রয়োজনের ক্ষেত্রে নিয়ে নিতে পারেন এই ট্রাভেল লোন। তাছাড়াও তাদের গো-সেফ প্রোগ্রামের আওতায় আছে যাবতীয় সব গন্তব্যে ভ্রমণের বিষয়ে নিত্যনতুন তথ্য এবং দৈনন্দিন কোভিড কেসের সংখ্যা। ভ্রমণের সম্পর্কে একটু বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে কিনে নিতে পারেন ভ্রমণের ইনস্যুরেন্সও। যেহেতু অনেকদিন পরে বহুল আকাঙ্ক্ষিত একটা ছুটি হাতে পাওয়া গেছে, এটি উদযাপনে যেন কোন ঘাটতি না থাকে। তাই পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও দেখে নেওয়া যায় একটু বাড়তি সুবিধাগুলো। 

ঘুরতে যাওয়া মানেই শুধু দেশের বাইরে নয়, দেশের ভেতরেও আছে অনেক সুন্দর কিছু গন্তব্য। পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত, চায়ের রাজ্য সিলেট, মেঘকন্যা সাজেক ইত্যাদি সবই আছে আমাদের দেশের গণ্ডির মাঝে। বড় ছুটিটা সমুদ্র, পাহাড় কিংবা দুটোর মাঝেই কাটাতে চাইলে দেখে নিতে পারেন কক্সবাজার। অনেকেই বলেন, ভিড়ের কারণে কক্সবাজার এখন উপভোগ করা সম্ভব না। কিন্তু কক্সবাজারে এখন শুধু বিচ দেখা ছাড়াও পাওয়া যায় অনেক রকমের অ্যাক্টিভিটি। ফানফেস্ট বিচে প্যারাসেইলিং, কয়েকশ ফিট উচ্চতায় বিখ্যাত "ফ্লাই ডাইনিং" এর বিশ্বমানের খাবার খাওয়া, রেজুখালে কায়াকিং কিংবা সমুদ্রের পাশে খোলা আকাশের নিচে ক্যাম্পিং করা- বিচিত্র এবং রোমাঞ্চকর এই অভিজ্ঞতাগুলো এখন ঘরের কাছেই পেয়ে যাবেন কক্সবাজার ঘুরতে গেলে। একটু ভিন্নভাবে কক্সবাজারকে চিনতে চাইলে দেখে নিতে পারেন এই অ্যাক্টিভিটিগুলো। 

তবে একটু শান্তিপূর্ণ ছুটি কাটাতে চাইলে সিলেটই হবে সেরা অপশন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে চোখ জুড়াতে সিলেটের জুড়ি নেই। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা চা বাগান, করোচ গাছের শিকড়ে আচ্ছন্ন রাতারগুল, দুই দেশের সীমানায় অবস্থিত সাদা পাথরে ভরা জাফলং- আরও কত কি আছে সিলেটে। চায়ের রাজ্য আর মাজারের শহর- একসাথে দুই উপাধি দখল করে আছে সিলেট বিভাগ। সিলেট শহরের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে ঘুরে আসতে পারেন হযরত শাহজালাল, হযরত শাহপরান ইত্যাদি মাজার শরিফ। যেহেতু ছুটিটা বড়, অনেকেই এই সময়টাতে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছেন। তাই আগে থেকে ফ্লাইট কিংবা বাস এবং হোটেল বুকিং করে রাখা ভালো। এক্ষেত্রে সাহায্য নিতে পারেন গোযায়ান এর। বিভিন্ন গন্তব্যের আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট এবং ট্যুর তাদের প্লাটফর্মে আছে। বিভিন্ন অপশনের মাঝে যাচাই বাছাই করে পছন্দ করে নিতে পারবেন আপনার সুবিধামত ফ্লাইট। দেশের জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোতে দেখে নিতে পারেন গোযায়ান এর ট্যুরগুলোও।

দীর্ঘ ২ বছর পর বাধাহীন ঘোরাঘুরিতে যেন কোনো কমতি না থাকে। অনেকদিন পর আবারও সীমাহীন সম্ভবনাময় হয়ে উঠেছে ভ্রমণের রাজ্য। তাই বড় ছুটিতে নিজের ভ্রমণের পরিকল্পনাগুলো নিজের হাতে নিন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ/পাভেল

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর