৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৫:০১

নগদের মাধ্যমে হবে প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক

নগদের মাধ্যমে হবে প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মাধ্যমে দেওয়ার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সম্প্রতি এক চিঠিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি নগদের মাধ্যমে বিতরণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। 

সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিবকে লেখা এক চিঠিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শুধু নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করে। ওই চিঠিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলা হয়, উপবৃত্তির টাকা বিতরণের জন্য ১৩ ডিসেম্বর ২০২০-এর চুক্তি অনুযায়ী নগদের সঙ্গে পুনরায় চুক্তি করার জন্য অনুমোদন করা হলো। এ জন্য সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা সংশোধন করা যেতে পারে।

জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময় জারি করা সরকার থেকে ব্যক্তি (জিটুপি) পেমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেই প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করা হয়। এখন অর্থ বিভাগের জিটুপি পেমেন্ট পদ্ধতির সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সমন্বিত ডিজিটাল পদ্ধতির সমন্বয় করে উপবৃত্তি বিতরণ করা হচ্ছে। এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুধু শিওর ক্যাশের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা গ্রহণের বাধ্যবাধকতা ছিল। পরে ডাক বিভাগের নগদ এ সেবায় যুক্ত হয়।
 
নগদ-এর সঙ্গে চুক্তি করার ফলে গত অর্থ বছরে সরকারের বিপুল পরিমাণে অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। নগদ যেহেতু ক্যাশ আউট চার্জসহ একেবারে নামমাত্র খরচে উপবৃত্তি বিতরণ করে, তাই শিক্ষার্থীরা বৃত্তির পুরো টাকা তাৎক্ষণিক হাতে পেয়ে থাকেন।

নগদ অত্যন্ত সফলভাবে সরকারের উপবৃত্তি বিতরণ করতে পেরেছে এবং দায়িত্ব পেলে আবারও একইরকম স্বচ্ছতা বজায়ে রাখবে বলে বলেছেন নগদ'র হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের ওপর আস্থা রাখা হলে আমরা এই অর্থ বছরেও একই মানের সেবা দিয়ে যাব।

এক বছরের বেশি বিতরণ বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ ভাতা নগদের মাধ্যমে ২০২২ সালে পুনরায় চালু করে সাফল্য কুড়িয়েছে সরকার। তালিকাভুক্ত এক কোটি ২৫ লাখ শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের মায়ের মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দিয়েছে নগদ। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার ওপরে বিতরণ করেছে নগদ। এতে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের আর কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।

নগদ-এ উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে নিজের মোবাইল নম্বর ও জন্মসনদের পাশাপাশি অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। ফলে ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকেরা ভাতা বিতরণের সাথে সাথে মোবাইলে ক্যাশ আউট চার্জসহ উপবৃত্তির টাকা বুঝে পান।

এখন প্রাক-প্রাথমিকের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মাসিক ৭৫ টাকা উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থী মাসিক ১৫০ টাকা এবং এক পরিবারে ২ জন শিক্ষার্থী থাকলে ২ জন মিলে পায় ৩০০ টাকা। এ ছাড়া কোনো পরিবারে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া একজন শিক্ষার্থী থাকলে উপবৃত্তি দেওয়া হয় মাসে ২০০ টাকা। আর দুজন শিক্ষার্থী থাকলে উপবৃত্তি মিলে মাসে ৪০০ টাকা।

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমাতে এবং মেয়েশিক্ষার্থীদের ক্লাসে ধরে রাখার জন্য ১৯৯৯ সালে উপবৃত্তি চালু করে সরকার। এখন ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর