২৪ জুলাই, ২০২৩ ১২:৫৮

বিকাশের এক যুগ : আর্থিক লেনদেনে কোটি মানুষের অনুষঙ্গ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিকাশের এক যুগ : আর্থিক লেনদেনে কোটি মানুষের অনুষঙ্গ

এক যুগ আগে কাউকে টাকা পাঠানো বা পরিষেবার বিল পরিশোধের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না। তখন কি কেউ ভেবেছিলেন, ঘরে বসে সুবিধাজনক সময়ে এসব আর্থিক সেবা পাওয়া যাবে! আবার ব্যাংকে টাকা জমানো বা ব্যাংক থেকে তাৎক্ষণিক ছোট অঙ্কের ঋণ মিলবে মোবাইল ফোনেই। এখন সেই লাইনের দাঁড়ানোর পরিবর্তে নিজের সুবিধাজনক সময়ে ঘরে বসেই মিলছে সব ধরনের ডিজিটাল আর্থিক সেবা। 

এক যুগ আগে চালু হওয়া মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশ হয়ে উঠেছে এসব সেবা গ্রহণের প্রধান মাধ্যম। ফলে ছোট আর্থিক লেনদেন ও সেবা নিতে ভোগান্তি এখন ইতিহাস। আর্থিক সেবা চলে এসেছে সব শ্রেণীর মানুষের হাতের মুঠোয়, যা জীবন সহজ করেছে। ডিজিটাল লেনদেনে নির্ভরতা বেড়েছে সব শ্রেণীর মানুষের। বিকাশ এখন শুধু টাকা স্থানান্তর বা বিল পরিশোধের মাধ্যম না। কেনাকাটা, সঞ্চয়, বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠানোসহ আরও অসংখ্য সেবা যুক্ত হয়ে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক সেবার মাধ্যম হয়ে উঠেছে বিকাশ। আর্থিক লেনদেনে জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। আয়োজনে বা প্রয়োজনে বিকাশ এখন প্রতিটি পরিবারের সদস্য। আরও অনেক প্রতিষ্ঠান একই ধরনের সেবা চালু করলেও মোবাইলে আর্থিক সেবা মানেই ‘বিকাশ করা’ এখন সুপরিচিত। 

বাংলাদেশের আনাচে কানাচে মোবাইল আর্থিক সেবা সহজলভ্য করতে একযুগ ধরে ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট নিয়ে  বিকাশ তৈরি করেছে সবচেয়ে শক্তিশালী এজেন্ট নেটওয়ার্ক। এমএফএস সেবা দিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই এজেন্টরা তাদের এলাকার নির্ভরযোগ্য মানুষ হয়ে উঠেছেন। “হিউম্যান এটিএম”-খ্যাত এজেন্টরা কেবল গ্রাহকদের নয়, এই ব্যবসার মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের উন্নয়নেও সফল হয়েছেন। 

প্রশিক্ষিত বিকাশ এজেন্টদের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে অন্যান্য এমএফএস প্রতিষ্ঠানের সেবাও পৌঁছেছে। দেশের সাত কোটি গ্রাহকের প্রতিদিনের ডিজিটাল লেনদেন সঙ্গী হয়ে ওঠার পেছনে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ, সব ধরনের ফোনে বিকাশ সেবা পাওয়া, সেবার মান, ধারাবাহিক বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবন।  শুধু সঞ্চয় নয়, বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ঋণও মিলছে। এ জন্য সিটি ব্যাংক ও বিকাশ যৌথভাবে ২০২১ সালে দেশের প্রথম ডিজিটাল ন্যানো লোন চালু করে। এখন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলছে। এখন পর্যন্ত গ্রাহকরা ২৭৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন, যার মধ্যে ২৩০ কোটি টাকা ইতোমধ্যে পরিশোধ হয়ে গেছে। 

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর