বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি খাসেইফ আল হামুদি বলেছেন, ওয়ালটনের প্রোডাকশন প্ল্যান্টগুলো অত্যন্ত সুন্দর ও অত্যাধুনিক। ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল এবং আইটি পণ্য আন্তর্জাতিক গুণগতমানসম্পন্ন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। দুবাইকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানির নতুন ক্ষেত্র তৈরির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন ইউএই রাষ্ট্রদূত। হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনকালে বাংলাদেশে ওয়ালটন যেসব পণ্য উৎপাদন ও বিপণন এবং বিশ্বব্যাপী রপ্তানি করছে, সেসব বিষয়ে তিনি সামগ্রিক ধারণা লাভ করেন। দুবাইয়ের ফ্রি পোর্ট ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ইউএই রাষ্ট্রদূত সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
হেডকোয়ার্টার প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আল হামুদিকে স্বাগত জানান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম।
ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে ইউএই রাষ্ট্রদূত প্রথমে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল এবং আইটি পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি খাত সম্পর্কে তথ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি) উপভোগ করেন। এরপর তিনি ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যে সুসজ্জ্বিত ডিসপ্লে সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরে রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, কম্প্রেসর, মোল্ড-ডাই, ল্যাপটপ-কম্পিউটার, পিসিবি, এলিভেটর ইত্যাদি পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন।
এ সময় ইউএই রাষ্ট্রদূত আন্তর্জাতিকমানের পণ্য উৎপাদন ও বিশ্বব্যাপী রপ্তানিতে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আরব আমিরাতের দেশগুলোতে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি অভিমত দেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ