৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৪৯

বেস্ট হোটেলিয়ার সম্মাননা পেলেন শাখাওয়াত হোসেন

অনলাইন ডেস্ক

বেস্ট হোটেলিয়ার সম্মাননা পেলেন শাখাওয়াত হোসেন

‘দ্য বেস্ট হোটেলিয়ার অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা গ্রহণ করছেন শাখাওয়াত হোসেন

বাংলাদেশের হসপিট্যালিটি অ্যান্ড টুরিজম শিল্পের প্রফেশনালদের মধ্যে অন্যতম বিশিষ্ট নাম শাখাওয়াত হোসেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘দ্য বেস্ট হোটেলিয়ার অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। 

১২তম হাই-এইম (হসপিট্যালিটি ইন্ডাস্ট্রি-আর্কিটেকচার, ইন্টেরিয়রস, অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) কনফারেন্সে তাকে এ সম্মানে ভূষিত করা হয়। নেপালের অ্যালোফট হোটেল কাঠমান্ডুতে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সহযোগী ছিল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল।

দক্ষিণ এশিয়ার হসপিট্যালিটি সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় প্রফেশনাল ও এক্সপার্টরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

শাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশে এই খাতের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, তাকে দ্য বেস্ট হোটেলিয়ার সম্মাননা প্রদান তারই স্বীকৃতি। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই সম্মানজনক পুরস্কারটি পেলেন। 

অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট খাতের আরও পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন এশিয়া প্যাসিফিক এক্সক্লুডিং চায়না (অ্যাপেক) অব ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল, ইন্করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট রাজীব মেনন, টুরিজম ফিন্যান্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের ডাইরেক্টর ও সিএফও অনুপ বালি, দ্য খাইবার হিমালয়ান রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা-এর এমডি উমর খুরশিদ ত্রাম্বু, দ্য লীলা প্যালেসেস, হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজীব কাউল, ফরচুন পার্ক হোটেলস লিমিটেডের সাবেক এমডি সুরেশ কুমার।     

শাখাওয়াত হোসেন তার ২০ বছরের কর্মকুশলতার গুণে বাংলাদেশের হসপিট্যালিটি শিল্প গঠনে এক চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছেন। তিনি দেশের একমাত্র হোটেলিয়ার যিনি একাধারে একজন ইন্ডাস্ট্রি প্র্যাকটিশনার, অ্যাকাডেমিশিয়ান ও রিসার্চার; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টুরিজম অ্যান্ড হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে যিনি পিএইচডি করছেন। অনেকগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। দেশের একমাত্র হোটেলিয়ার হিসেবে শাখাওয়াত হোসেন কর্মজীবন শুরু করেছিলেন স্ক্র্যাচ লেভেল থেকে; স্টারউড ইন্টারন্যাশনাল এবং ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনালে উচ্চপদে কাজ করেছেন বিভিন্ন ধরনের নেতৃত্বের গুণাবলীতে। এখন তিনি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির সিইও। তিনি চলমান ৩টি ও আসন্ন ৪টি আন্তর্জাতিক চেইন হোটেলের তত্ত্বাবধান করছেন। 

হসপিট্যালিটি শিল্পের বৃদ্ধিতে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও অঙ্গীকারের জন্য প্রতিশ্রুতিশীল ব্যক্তিদের স্বীকৃতিস্বরূপ হাই-এইম আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। শাখাওয়াত হোসেন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। তিনি সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী তরুণদের সহায়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এনজিও ও সরকারকে সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি তরুণদের জন্য এই শিল্পে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেন। 

হসপিট্যালিটির ক্ষেত্রে শাখাওয়াত হোসেনের অটুট অঙ্গীকার, কর্মকুশলতা ও উদ্ভাবনের প্রতিফলন হচ্ছে তার এই বেস্ট হোটেলিয়ার পুরস্কারপ্রাপ্তি। তার নেতৃত্ব এ শিল্পে জড়িত অন্যদেরও দক্ষতা অর্জনে অনুপ্রেরণা জোগাবে; বাংলাদেশের হসপিট্যালিটি ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যতের জন্য তা বেঞ্চমার্ক হয়ে থাকবে। আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে টেকসই ব্যবসায়, জুনিয়র এক্সিকিউটিভদের ম্যানটরিং, মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা কোম্পানিকে বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক পরামর্শ, কৌশল প্রণয়ন ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হসপিট্যালিটি শিল্পে অব্যাহতভাবে ভ্যালু যোগ করে চলেছেন শাখাওয়াত হোসেন।     

হসপিট্যালি ইন্ডাস্ট্রি-আর্কিটেকচার, ইন্টেরিয়রস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট

হসপিট্যালিটি ইন্ডাস্ট্রি-আর্কিটেকচার, ইন্টেরিয়রস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, সংক্ষেপে হাই-এইম। এই ইন্ডাস্ট্রি প্ল্যাটফর্মটি গঠিত হয়েছে টুরিজম অ্যান্ড হসপিট্যালিটি শিল্পে সুদক্ষ ম্যাটেরিয়াল ও টেকনোলজি প্রয়োগ এবং দায়িত্বশীল ও পরিবেশবান্ধব ডিজাইন এবং নির্মাণশৈলীর উন্নয়নে থিংক ট্যাংককে একত্রিত করার জন্য। সারা বিশ্বের টুরিজম ও হসপিট্যালিটি শিল্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা যেমন আর্কিটেক্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, এমইপি কনসালট্যান্ট, যারা সরাসরি এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং এছাড়াও ফ্যাসিলিটি প্ল্যানিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, ল্যান্ডস্কেপ, লাইটিং অ্যান্ড অ্যাকুস্টিক্স, লাইফ সেফটি, সিকিউরিটি সিস্টেম, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল ইন্ডাস্ট্রি প্রফেশনাল ও প্ল্যানাররা এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন।

হাই-এইমকে বেশিরভাগ সহযোগিতা করে থাকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ হোটেল সংগঠনসমূহ; যেমন- অ্যাকর, অ্যাভেডা, ফরচুন, রেডিসন, গোল্ডেন টিউলিপ, হিল্টন, হায়াত, আইএইচজি, আইটিসি, লা মেরিডিয়ান, লর্ডস, ম্যা রেডিসন, দ্য গ্র্যান্ড তাজ, দ্য পার্ক অ্যান্ড উইন্ডহ্যাম।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর