বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৩ ০০:০০ টা
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২

পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জের নামে ৬০ লাখ টাকা অতিরিক্ত আদায়

বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন গৌরনদী জোনাল অফিসের অধীন ২৮ হাজার ৩৮৫ জন গ্রাহকের কাছ থেকে পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জের নামে অতিরিক্ত প্রায় ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সেখানকার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গৌরনদী জোনাল অফিসের অধীন সংযুক্ত ৩২ হাজার ৪১৮ জন গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৩৮৫ জন গ্রাহক নিয়মিত মাসিক বিল পরিশোধ করে আসছে। গৌরনদী উপজেলার উত্তর বিজয়পুর এলাকার খোন্দকার কাওছার হোসন, রফিকুল ইসলাম, মো. মেরাজ হোসেনসহ শতাধিক গ্রাহক জানান, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের শুরুতেই তারা ডিসেম্বর ২০১২ মাসের বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে যথারীতি বিলও পরিশোধ করেন। অনেক গ্রাহকই তাদের বিল পরিশোধের পূর্বে বিলে ধার্যকৃত পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জের বিষয়টি খেয়াল করেননি। পরে বিষয়টি ধরা পড়লে তারা এ নিয়ে অফিসে গিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। তাদের কথায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অভিযোগ, গ্রাহকদের জিম্মি করে অবৈধভাবে পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জ হিসেবে অতিরিক্ত প্রায় ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আ. বাতেন নোমান অবৈধভাবে নেওয়া পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জের ৬০ লাখ টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া না হলে আন্দোলনে নামার হুমকি দেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গৌরনদী জোনাল অফিসের ডিজিএম আবু বকর শিবলী জানান, ডিসেম্বর মাসের বিলে পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জ হিসেবে যে অর্থ নেওয়া হয়েছে তা মূলত এরিয়া (বকেয়া) বিল। কম্পিউটার সফটওয়্যারের সমস্যার কারণে পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জ ছাপা হয়েছে। তবে ৬০ লাখ নয়, চূড়ান্ত হিসাবে এরিয়া বিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৬৭৩ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

সর্বশেষ খবর