বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৩ ০০:০০ টা

ভারপ্রাপ্তের দাপটে...

শেরপুর সদর উপজেলায় গত দেড় বছরে পাঁচজন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েও তাদের কেউ এক সপ্তাহ টিকতে পারেনি। এর নেপথ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ও নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মজিবর রহমানের মেয়ে মনিকা পারভীন। অভিযোগ রয়েছে, সদরের এমপির আশীর্বাদপুষ্ট মনিকা পারভীন ২০১০ সালের ৭ জুন অন্তত তিনজন সিনিয়র সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ডিঙ্গিয়ে সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান। তার কথা মতোই চলে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। শিক্ষকদের বদলিসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে তার একচ্ছত্র আধিপত্য। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত সাত মাস আগে মলিনা দে, এক বছর আগে জুয়েল আশরাফ, ১৪ মাস আগে মোস্তাফিজুর রহমানসহ মোট পাঁচজন সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করতে এসে ওই ভারপ্রাপ্তের প্রভাবের কারণে কেউ যোগদান করার সাহস পাননি বা বদলির আদেশ হওয়ার ২ থেকে ৩ দিন পরেই আবার মন্ত্রণালয় থেকে বদলির আদেশ বাতিল হয়েছে অদৃশ্য হাতের ইঙ্গিতে। সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের আদেশে আবদুল খালেক নামে একজন ভারপ্রাপ্ত মনিকার কাছ থেকে চার্জ বুঝে নিতে এসে অপমানিত ও হুমকির মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। শেরপুর সদরের শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ উদ্দিন জানান, উপজেলার ১১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী নিয়োগে ইতোমধ্যেই মনিকা পারভীন ও সদরের এমপিপত্নী বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, তিনি শিক্ষা কমিটির সভাপতি হলেও এমপি আতিকের প্রভাবে গত এক বছরে শিক্ষা কমিটির কোনো মিটিংই করতে দেওয়া হয়নি। ভারপ্রাপ্ত টিও (এটিও) মনিকা পারভীন তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

সর্বশেষ খবর