শুক্রবার, ১৭ মে, ২০১৩ ০০:০০ টা
কুড়িগ্রামে ফসলি জমিতে ইটভাটা

নষ্ট হয়ে গেছে ২০০ একর জমির ধান, কৃষকের মাথায় হাত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এসব ভাটার কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে কান্দা ও বন্দবেড় গ্রামের ২০০ একর জমির বোরো। চড়া দামের সার-তেল খরচ করে কৃষকরা গোলায় ধান উঠানোর যে স্বপ্ন দেখত তা ফিকে হয়ে গেছে। জন্তিরকান্দার কৃষক ফরহাত হোসেন বলেন, 'আমার চার বিঘা জমির সব ধান চিটা হয়ে গেছে। এহন আমার মরণ ছাড়া কোনো পথ নাই।' ফরহাতের মতো একই অবস্থা জন্তিরকান্দার অর্ধশত কৃষকের। একই চিত্র পাওয়া গেল বন্দবেড় গ্রামেও। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, আবাদি জমির মাঝখানে কয়লা দিয়ে পোড়ানো ইটভাটার কারণে মারাত্দকভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ভাটায় গরম ও কালো ধোঁয়া নির্গমনের জন্য যে চিমনি ব্যবহার করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট মাপের চেয়ে নিচু হওয়ায় সর্বনাশ হয়েছে ধান খেতের। ইটভাটার আশপাশের সব জমির ধানগাছ শুকিয়ে গেছে। রৌমারী কৃষি কর্মকর্তা মোবাশ্বের মুরাদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ধান গাছের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কৃষি বিভাগের ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা না করে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে জমির মাঝে নির্দিষ্ট মাপের নিচু চিমনির ভাটায় ইট পোড়ানোর জন্য ধান গাছ শুকিয়ে গেছে ও চিটা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে 'কেডি ব্রিকস' নামে পাশাপাশি দুটি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব ৫৯৯ গজ। দুটি ভাটাই আবাদি জমি ও জনবহুল এলাকায়। জানা গেছে, ভাটা দুটির মালিক কুড়িগ্রাম শহরের ব্যবসায়ী কসব উদ্দিন ও দুলাল হোসেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। ম্যানেজার বেলাল জানান, ভাটার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর