সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

সবজি ক্ষেতে কীটনাশক ছড়াচ্ছে রোগ-বালাই

সবজি ক্ষেতে কীটনাশক ছড়াচ্ছে রোগ-বালাই

চলতি মৌসুমে লালমনিরহাটে আবাদ হয়েছে পটোল, বরবটি, ঢেঁড়স, ধুন্দল, কাঁকরোল, লালশাকসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি। পোকা-মাকড়ের কবল থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকরা অবাধে স্প্রে করছেন কীটনাশক। এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না নিয়মনীতি। এসব শাকসবজি খেয়ে ক্যান্সারসহ নানা রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, চলতি বর্ষা মৌসুমে লালমনিরহাটের উঁচু জমিতে কৃষকরা আবাদ করেছেন বিভিন্ন জাতের শাকসবজি। বাজারে দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা বেশ মুনাফাও করছেন। অধিক মুনাফার কারণে এসব রবি ফসল আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। পোকা-মাকড়ের কবল থেকে শাকসবজি রক্ষা করতে তারা ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করছেন। স্প্রে করার পরদিনই কৃষকরা ক্ষেত থেকে ফসল তুলে বিক্রি করছেন। অথচ স্প্রে করার ৪৮ ঘণ্টা পর ক্ষেত থেকে ফসল তোলার নিয়ম থাকলেও মানা হচ্ছে না। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। হাতিবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, শাকসবজির ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করার সময় মুখে কাপড় বাঁধার বিষয়টি বারবার বলার পরও কেউ মানছেন না। এভাবে দিনের পর দিন স্প্রে করলে এক সময় শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বে কৃষক। এসব শাকসবজি খেয়ে সাধারণ মানুষ নানাবিধ রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। লালমনিরহাট সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, কীটনাশক স্প্রে করার পরদিন ক্ষেত থেকে তুলে আনা শাকসবজি খেলে মানুষের নানাবিধ রোগব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে চর্মরোগ এবং ক্যান্সারও হতে পারে। শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। শাকসবজি উৎপাদনকারী কৃষককে জনস্বার্থে সচেতন করা ছাড়া বিকল্প কোনো পদ্ধতি নেই। আইন করে তা বন্ধ করা কতটুকু সম্ভব এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর