বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
সুনামগঞ্জ

নির্বাচনী লড়াইয়ে সাবেক ছাত্রনেতারা

নির্বাচনী লড়াইয়ে সাবেক ছাত্রনেতারা

সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ থেকে এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতা। দশম জাতীয় সংসদে নৌকা নিয়ে লড়ার লক্ষ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন একসময়ের রাজপথ কাঁপানো সাবেক ছাত্রনেতারা। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এসব নেতার সমর্থকদের ধারণা, দলীয় মনোনয়ন পেলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সাফল্য ঘরে তুলতে পারবেন তারা। '৭৫-পরবর্তী আওয়ামী লীগের দুর্দিনে সুনামগঞ্জে শক্ত হাতে ছাত্রলীগের হাল ধরেছিলেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান পীর। সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসন থেকে নির্বাচনে লড়ার লক্ষ্যে মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। সর্বমহলে 'মতি ভাই' হিসেবে পরিচিত সদালাপী ও হাস্যোজ্জ্বল এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। '৭৫-পরবর্তী জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মনোনীত হওয়ার পর আরও দুবার নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তীতে তার নেতৃত্বে সুনামগঞ্জে ছাত্রলীগ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ায়। রেড ক্রিসেন্টের জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন তিনি। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা থাকায় এ আসনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যক্তিগত ইমেজ রয়েছে তার। সুনামগঞ্জ-৩ ও ৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন একসময়ের জনপ্রিয় ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী অ্যাডভোকেট শাহানা রব্বানী। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ১৯৭৯ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব ও মহিলা সমিতির সভাপতির দায়িত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তিনি। সুনামগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন। '৭৫-পরবর্তী সময়ে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে মাঠে রয়েছেন জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা সিরাজুর রহমান সিরাজ।

১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে বাসদ মাহবুবের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সরকারের কোপানলে পড়েন ও তিনটি মামলার আসামি হন। সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তিনিও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। '৭৫-উত্তর ছাত্রলীগ পুনর্গঠনে তার ভূমিকা রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামের রাজপথের সাহসী মুখ। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ-১ আসনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান সেলিম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রণজিৎ সরকার, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সদস্য শামীম আহমদ চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর