শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা
১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন (লক্ষ্মীপুর-১)

কেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ

কেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট নিয়ে এলাকায় নানা কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। নৌকার সমর্থকদের ভোট কেন্দ্র দখল ও ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগ রয়েছে এসব আসনে। এ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আরও ১০ কেন্দ্রের পুনরায় ভোট চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। ভোটের দিন এখানে সহিংস ঘটনায় একজন নিহতসহ ব্যালট ছিনতাই ও অগি্নসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। স্থগিত রাখা হয়েছে ২১টি কেন্দ্র। ১৬ জানুয়ারি এসব কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সুষ্ঠু ভোট না হলে এখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগে জানা যায়, ৫ জানুয়ারি স্থানীয় প্রভাবশালীরা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ব্যবহার করে কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট কেটে নিয়ে গেছেন। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর নৌকার পক্ষে ভোট কেন্দ্র দখলের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করার আভাস পেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন। সফিকুল ইসলাম (আনারস) ৯ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে নৌকার প্রার্থী তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় হেলিকপ্টার ব্যবহারসহ আচরণবিধি লঙ্ঘন ও জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ মদদে ভোট কেন্দ্র দখল এবং নৌকার পক্ষে ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগ এনে আরও ১০ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানান। কেন্দ্রগুলো হলো- নান্দিয়ারা. বাউরখাড়া, কলচমা, মধ্য আঙ্গারপাড়া, পূর্ববিঘা, পশ্চিম কাজিরখিল, মধ্য সোনাপুর, দেহলা, স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চণ্ডীপুর উচ্চবিদ্যালয়। অভিযোগের আলোকে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক এ কে এম মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বাকি ৬০ কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব, মহাজোট প্রার্থী লায়ন এম এ আউয়াল (নৌকা) পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৭ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ২০ হাজার ৯১১ ভোট, জাতীয় পার্টির মাহমুদুর রহমান (লাঙ্গল) পান ১ হাজার ৯৫৮ ভোট। এ আসনের ১ লাখ ৮৫ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে ফলাফল ঘোষিত কেন্দ্রে এম এ আউয়াল সফিকুল ইসলাম থেকে ১১ হাজার ১৪৬ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। স্থগিত কেন্দ্রগুলোয় ভোটার ৫০ হাজার ১৫৬ জন। অন্যদিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি যেমনি থাকবে না তেমনি ভোট কেন্দ্র দখল ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। অন্যদিকে তরীকত প্রার্থী লায়ন এম এ আউয়াল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ব্যালট পেপারে সিল ও কেন্দ্র দখলের বিষয়টি সঠিক নয়। সারা দেশে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে ১৬ তারিখের নির্বাচনে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

 

 

সর্বশেষ খবর