মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

টাঙ্গাইলের মুরাদ সিদ্দিকী

টাঙ্গাইলের মুরাদ সিদ্দিকী
দল বা প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তি ইমেজ নিয়েই টাঙ্গাইলে একাই লড়ছেন মুরাদ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল-৫ সদর আসন থেকে তিনবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হলেও তার ব্যক্তি ইমেজ এখনো অপরিবর্তিত। গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গেলেও মুরাদ সিদ্দিকী রাজনৈতিক কোনো হানাহানি বা কলহের মধ্যে না গিয়ে আবারও মিশে গেছেন মাঠের মানুষের সঙ্গে। সাধারণ জনগণের খঁোজখবর রাখছেন নিয়মিত। জেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পেৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের সর্বস্তরের লোকজনের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। মানুষ নির্বাচন করে জয়ী কিংবা পরাজিত হওয়ার পর ভোটারদের খঁোজখবর রাখেন না। সেদিক থেকে মুরাদ সিদ্দিকী ব্যতিক্রম। তিনি পরাজিত হওয়ার পরও সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখছেন এবং সেবা করছেন।
 
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান ৯৬ হাজার ভোট পান। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আবদুল মান্নান পেয়েছিলেন ৮২ হাজার ভোট। মুরাদ সিদ্দিকী কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ৬৮ হাজার ১৬৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুরাদ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ৪০ হাজার ৪৫৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন মুরাদ সিদ্দিকী। বিরোধী দল এ নির্বাচনে অংশ না নিলেও মুরাদ সিদ্দিকীর ইমেজের কাছে সরকারি দলের মনোনীত প্রার্থীকে চরম বেকায়দায় ফেলে দেন তিনি। মুরাদ সিদ্দিকী ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়েও সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। হারার পর ভোট জালিয়াতি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করলেও শেষে ফলাফল মেনে নিয়েছেন।
 
টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনের অনেক ভোটার ও সাধারণ মানুষ মনে করেন, মুরাদ সিদ্দিকী আগামীতে কোনো দলের মনোনয়ন নিয়ে আসতে পারলে তার বিজয় ঠেকানো যে কোনো বড় দলের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর