শিরোনাম
শনিবার, ১৭ মে, ২০১৪ ০০:০০ টা

দুই বছরে কুমিল্লায় এসেছে প্রবাসী ২১ শ্রমিকের লাশ

দুই বছরে কুমিল্লায় এসেছে প্রবাসী ২১ শ্রমিকের লাশ

গত দুই বছরে প্রবাসে আগুনে পুড়ে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন কুমিল্লার ২১ জন শ্রমিক। ২০১২ সালের মে মাস থেকে ২০১৪ সালের মে পর্যন্ত মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ করেন এসব শ্রমিক।

জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস কুমিল্লার সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সম্প্রতি ১৩ মে রাতে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের সিফা সানাইয়া এলাকার একটি ফার্নিচার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১১ শ্রমিকের মধ্যে ৭ জনের বাড়ি কুমিল্লায়। কুমিল্লার হোমনা, তিতাস ও মেঘনার বাসিন্দা এ সাত শ্রমিকের স্বজনদের মাঝে এখনো মাতম চলছে। তারা এখন অপেক্ষায় আছেন লাশ এবং ক্ষতিপূরণের। এছাড়া চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাহরাইনের রাজধানী মানামার মাখারকা এলাকায় একটি বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সৃষ্ট অগি্নকাণ্ডে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন বুড়িচং উপজেলার জিয়াপুর গ্রামের দুলাল মিয়া, রামপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন এবং একই গ্রামের মোশারফ হোসেন। ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আবুধাবীর আল-আইন এলাকায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি মুরাদনগর ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায়। মুরাদনগরের দুজন হলেন আলীরচর গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও হীরাপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান। অন্যজন মনোহরগঞ্জ উপজেলার নারারপাড় গ্রামের নুরে আলম। ২০১২ সালের ২৬ মে বাহরাইনে কুমিল্লার ৮ শ্রমিক নিহত হন। তারা হলেন সদর দক্ষিণ উপজেলার জামিরা গ্রামের মো. মনির হোসেন, কলমিয়া গ্রামের মো. হানিফ ও যশপুর গ্রামের সোলায়মান। ভূশ্চি পূর্বপাড়ার সিদ্দিকুর রহমান, খিলপাড়ার কাউসার আলম, শশুন্ডার আবু তাহের, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার যুগীরকান্দি গ্রামের আবুল হাসেম, লাকসাম উপজেলার মধ্য চাঁনপুর গ্রামের শাহ আলম নুরু। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, অসচেতনতার জন্যই অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা প্রবাসে যেতে ইচ্ছুকদের নিয়ে কর্মশালা করব। নিহতদের পরিবার লাশ দাফনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে পাচ্ছে। এ ছাড়া তারা ৩ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণও পায়।

 

সর্বশেষ খবর