বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

এখনো জেলেদের জালে মা ইলিশ

পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়ায় জেলের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ। এসব ইলিশ বেচা-বিক্রি হচ্ছে বাউফলের হাট-বাজারে। মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ছিল ৫ থেকে ১৫ অক্টোবর এ ১১ দিন। তবে মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় এ ১১ দিন সময়কাল যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন এখানকার প্রবীণ জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কারণ পূর্ণিমা তিথির উপর নির্ভর করে ইলিশের প্রজনন শুরু ও শেষ হওয়া। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার ২০১৩ সালে ৫ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ শিকারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, চলতি বছর ২০১৪ সালেও একই তারিখে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বিগত বছরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও প্রায় এক সপ্তাহ জেলেদের জালে মা ইলিশ ধরা পড়ে। ফলে ওই বছর আশঙ্কাজনকভাবে ইলিশের উৎপাদন কমে যায়। এ বছর অক্টোবর মাসে পূর্ণিমা তিথির সময় পরিবর্তন হওয়ায় ইলিশের প্রজননের সময়ও পরিবর্তন হয়েছে। সে হিসাব অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত ছিল।

উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের প্রবীণ জেলে বাদশা মাঝি বলেন, এ বছর তারিখ আরও এগিয়ে ১০ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেওয়া উচিত ছিল। কালাইয়া বন্দরের ভাই ভাই মাছের আড়তের মালিক অমর দাস বলেন, বর্তমানে ইলিশের আমদানি অনেক বেশি। যেসব ইলিশ বর্তমানে জেলেরা শিকার করে নিয়ে আসছেন তার অধিকাংশ মাছের পেটভর্তি ডিম। উজ্জ্বল দাস নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরে যে ইলিশগুলো জেলেরা শিকার করেছে তার শতকরা আশি ভাগ মাছের পেটভর্তি ডিম। তিনি মনে করেন সরকারের উচিত নিষেধাজ্ঞার সময় কমপক্ষে ২১-৩০ দিন করা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, আমাদের হিসাব মতে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মাছ নিরাপদে ডিম ছেড়েছে। তবে সময় নির্ধারণ, পরিবর্তন ও সময় বাড়ানো এ সবই নির্ভর করে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।

সর্বশেষ খবর