যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর বাঁওড় দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপের টানা সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। এ ব্যাপার সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষকে সন্ধ্যায় থানায় ডাকা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, আমি দুই পক্ষকেই সমঝোতার জন্য ডেকেছি। তাদের কথা শুনবো। তারপর ব্যবস্থা। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানান, চার দিন ধরে বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বেনাপোল পৌর মেয়র গ্রুপের সমর্থক মিজানুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এমপি গ্রুপের সমর্থক মফিজুরের লোকজনের মধ্যে বাহাদুরপুর বাঁওড় দখল নিয়ে দফায় দফায় বোমার বিস্ফোরণ, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষ চলে আসছে। রবিবার মিজানুর গ্রুপের ২ নারীসহ ৫ জন আহত হয়। সোমবার সকাল থেকে তারা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ওইদিন সন্ধ্যায় মিজান গ্রুপের সমর্থক কোমর আলী কুমড়ো (৪২) নামে এক যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। তিনি বেনাপোল পোর্ট থানাধীন উত্তর ধান্যখোলা গ্রামের আমীর ফকিরের ছেলে।সোমবারের সংঘর্ষের পর মঙ্গলবারও দুগ্রুপের লোকজনকে বেনাপোল-বাহাদুরপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে মহড়া নিতে দেখা যায়। বুধবার সারাদিন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সন্ধ্যার পর ওই এলাকায় কেউ থাকছে না। শার্শাসহ বেনাপোলের চাকরিরত ওই এলাকার অনেকে প্রাণের ভয়ে রাতে বাড়ি যেতে পারছেন না। অনেকে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ নভেম্বর ২০১৪/আহমেদ