শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

হাইকোর্টের রায় নিয়ে টাঙ্গাইলে পুনর্বাসন শুরু যৌনকর্মীদের

হাইকোর্টের রায় নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের কান্দাপাড়া যৌনপল্লি থেকে উচ্ছেদ হওয়া প্রায় দুই হাজার যৌনকর্মী আবার ফিরতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবার রাতে প্রায় দেড় শতাধিক যৌনকর্মী ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। ৯ ডিসেম্বরের হাইকোর্টের রায় নিয়ে উচ্ছেদ হওয়া যৌনকর্মীরা খোলা আকাশের নিচে একে একে জড় হতে থাকেন। এদিকে কান্দাপাড়ার যৌনকর্মীরা আবার ফিরতে শুরু করার প্রতিবাদে আজ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেছেন, অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির নেতাদের সঙ্গে সভা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তারা কোনো ধরনের কর্মসূচি দেবেন না। প্রয়োজনে তারাও হাইকোর্টে যাবেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোথাও কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি বরদাশত করা হবে না।
এ বিষয়ে যৌনকর্মী অাঁখি জানান, 'যৌনপল্লি অবৈধভাবে উচ্ছেদের পর হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। রায় নিয়ে আমরা পুনরায় এখানে এসেছি। আমাদের জায়গায় আমরা বসবাস করব।'
যৌনকর্মী রোজিনা (ছদ্মনাম) জানান, 'আর কোনো অশুভ শক্তিই আমাদের এ জায়গা থেকে সরাতে পারবে না। যারা উচ্ছেদ করেছেন, তারা যে অন্যায় করেন আমরা সেরকম অন্যায় করি না। মরলে আমরা এ জমিতেই মরতে চাই।'
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির আন্দোলনের মুখে ১২ জুলাই রমজান মাসে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো কান্দাপাড়া যৌনপল্লির সাড়ে আট শ যৌনকর্মীসহ প্রায় ২ হাজার নারী এক রাতেই তাদের আবাসন ছেড়ে চলে যান। এর পর থেকে সে এলাকা জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। পরে যৌনকর্মীরা অভিযোগ করেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও তার ভাইদের কর্মীবাহিনীর নির্যাতনের মুখে এক রাতে তারা সে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। চার ভাইয়ের হুমকির মুখেই সেখানকার ঘরবাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করে দেন ৫৬ জন বাড়ির মালিক ও সরদারনি। প্রায় ২০০ বছর আগে লৌহজং নদীর তীরবর্তী কান্দাপাড়া নামক স্থানে এই যৌনপল্লি গড়ে উঠেছিল।

সর্বশেষ খবর