রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
আগাছা দমনে কীটনাশক

কাহারোলে ১৪৫ একর জমির ইরি-বোরো রোপা গাছে পচন

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ইরি-বোরো ধানে আগাছা দমনে 'অরনেট' নামক কীটনাশক ব্যবহারে ১৪৫ একর জমির ধানগাছে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ৮৩ কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, এসএএম এগ্রো কোম্পানির আগাছা দমনের কীটনাশক 'অরনেট' ব্যবহার করে তারা মারাত্দক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার কাহারোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরী, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও ইউপি সদস্যসহ সচেতন মহল ক্ষতিগ্রস্ত ধানখেত পরিদর্শন করেছেন। চকপ্রাণ কৃষ্ণ গ্রামের কৃষক আমাতুল হক জানান, কাহারোলের মুকুন্দপুরে মেসার্স বুলু ট্রেডার্সের মোস্তাফিজুর রহমান বুলুর কীটনাশকের দোকান থেকে অরনেট কিনে জমিতে প্রয়োগ করা হয়। এরপর থেকে বোরো ধানের রোপায় পচন দেখা দেয়। আগাছা না মরে ধানের চারার রং হলদে হয়ে মরে যেতে শুরু করে। প্রায় ৫০ দিন পার হলেও রোপা ধানের চেহারার উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। একই অভিযোগ করে প্রসাদ পাড়ার ব্রজ মোহন জানান, 'অরনেট' ব্যবহারে আমাদের ধানের চারা বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে। এ থেকে উত্তোরণে কোথাও কোনো ভাল পরামর্শ পাচ্ছিনা। খেত থেকে ফসল না পেলে পথে বসতে হবে। এসএএম এগ্রো কোম্পানীর কাহারোল উপজেলা মার্কেটিং অফিসার নিরঞ্জন ঠাকুর কৃষকদের ক্ষতির কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কিছু দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষদের নির্দেশনা মোতাবেক সহযোগিতা করছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আখেরুল রহমান জানান, কোম্পানির আগাছা দমনের কীটনাশক সম্পর্কে কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি জানার পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য উপসহকারী কৃষিকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিডিকে জানানো হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর