রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

ঠাকুরগাঁওয়ে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ

ঠাকুরগাঁওয়ে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মেঝেতে রোগী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রচণ্ড তাপদাহে ঠাকুরগাঁওয়ে শত শত শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অক্সিজেন সংকটের কারণে এসব শিশুর চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক শিশুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় গ্রামগঞ্জে আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য শিশু। সদর হাসপাতালে শয্যা না থাকায় মেঝেতে রেখে শিশুদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫টি শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ ডায়রিয়ায় এবং ৩৪টি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। আউটডোরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আরও এক শতাধিক শিশুকে। যেসব শিশুর অবস্থা বেগতিক শুধু তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দেখা গেছে ৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে ১৩০টি শিশু। শিশুদের সঙ্গে তাদের আত্দীয়স্বজন আসায় গিজগিজ করছে ওয়ার্ড। শিশু ওয়ার্ডে ৭৫ জন ডায়রিয়ার এবং ৪৪ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি আছে। বেড সংকটের কারণে ওয়ার্ড ও বারান্দার মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বেশির ভাগ শিশুকে। বারান্দায় আশ্রয় না পেয়ে কাউকে কাউকে হাসপাতালের সিঁড়িতে বিছানা পেতে শিশুর চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। বিছানার লাইন শিশু ওয়ার্ডের বারান্দা পেরিয়ে চলে গেছে গাইনি ওয়ার্ডের বারান্দা পর্যন্ত। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের কান্না ও অভিভাবকদের চিৎকারে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার, শয্যা ও জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসকরা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ ব্যাপারে হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. শাহাজাহান নেওয়াজ বলেন, শিশুরা অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে নিউমোনিয়াসহ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় শিশুদের হাসপাতালে নেওয়া হলে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব। সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি একটি শিশুর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়। তবে অক্সিজেন ও জনবল সংকটের কারণে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার লিখেও জনবল সমস্যা সমাধান করতে পারছি না।

 

সর্বশেষ খবর