বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

কালবৈশাখীতে সহস্রাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত, নিহত ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোমবার রাতে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে নবীনগর, আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় সহস্রাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। নবীনগরে ঝড়ে দেয়ালচাপায় নিহত হয়েছেন আবদুল মান্নান নামে বৃদ্ধ। তিন উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গাছ ও ফসলি জমির। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় এসব উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কালীসীমা, তালশহর ও বড়হরন এলাকায় গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে রেলপথের ওপর পড়লে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় তালশহর এলাকায় চট্টগ্রামগামী মহানগর গোধুলী, ভৈরবে পারাবত এক্সপ্রেস এবং আশুগঞ্জে কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে। এলাকাবাসী জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। এতে নবীনগর উপজেলায় পাঁচ শতাধিক, কসবায় পাঁচ শতাধিক ও আখাউড়ায় ৩০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়। নবীনগরের নারায়ণপুরে নিহত হন একজন। নবীনগরের ইউএনও জানান, ঝড়ে এ উপজেলার বীরগাঁও, শ্রীরামপুর, বিদ্যাকুট, নাটঘর, ভোলাচং, কনিকাড়াসহ কয়েক গ্রামের পাঁচ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পাঁচ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস জানায়, ঝড়ে পৌর সদর খাজানগর, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নও পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নে ১৯টি খুঁটি পড়ে প্রায় আড়াই হাজার বর্গফুট বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে যায়। এ কারণে ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। মনপুরায় ট্রলারডুবি : ভোলা প্রতিনিধি জানান, মনপুরার মেঘনা নদীতে শতাধিক যাত্রীবোঝাই একটি ট্রলার ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে গেছে। ট্রলারটি গতকাল বেলা ১১টার দিকে মনপুরা থেকে নোয়াখালি যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় সব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ট্রলারের যাত্রী গরুর ব্যাপারী জসিম জানান, তিনি গরু-ছাগল নিয়ে নোয়াখালী যাচ্ছিলেন। ট্রলারটি ছেড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর প্রচণ্ড বাতাসে এটি উল্টে যায়। তীরের কাছাকাছি হওয়ায় তিনি সাঁতরে উঠলেও মারা গেছে তার একটি গরু ও ছয়টি ছাগল।

 

সর্বশেষ খবর