বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

বগুড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ২

বগুড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ২

বগুড়ায় মঙ্গলবার মধ্যরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে দুই নৈশকালীন পাহারাদার নিহত হয়েছেন। এরা হলেন: জেলার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাদল কাজী (৫৫) এবং সদরের আশোকোলা উত্তরপাড়ার (ঘাসুরপাড়া) মৃত সুলতান প্রামাণিকের পুত্র বেলাল হোসেন প্রামাণিক (৫০)। এছাড়া ঝড়ে বাড়িঘর, গাছ-পালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর বগুড়া জেলার উপর দিয়ে প্রচণ্ড বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রাত ১২টা ২০ মিনিট থেকে ১২টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত ৩ মিনিট স্থায়ী ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাতলার পাকুল্যা ইউনিয়ন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা বাদল কাজী স্থানীয় বিলে নৌকায় চড়ে পাহারাদারের কাজ করছিলেন। ঝড়ে নৌকা উল্টে গেলে বাদল কাজী পানিতে ডুবে যায়। আজ বুধবার সকালে জাল টেনে লাশ উদ্ধার করা হয়। সোনাতলা থানার ওসি সেলিম হোসেন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, সদর উপজেলার বাঘোপাড়ায় লাভা ইটভাটার শ্রমিকদের শোবার ঘরের দেয়াল ধসে পড়ে নৈশকালীন পাহারাদার বেলাল হোসেন প্রামাণিক মারাত্মক আহত হন। ভোরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া মধ্যরাতের ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। অনেক বাড়ির মাটির দেয়াল ধসে গেছে। অসংখ্য গাছ-পালা উপড়ে গেছে। ঝড়ের পর প্রায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল গোটা শহর।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল রাতে স্মরণকালের ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বগুড়া। এ ঘটনায়  ২০ জন নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হন। বিধ্বস্ত হয় হাজার হাজার ঘরবাড়ি। উপড়ে প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি গাছ-পালা। দেখা দেয় ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এখনো জেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২২ এপ্রিল, ২০১৫/ রশিদা

সর্বশেষ খবর