পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের লালমনিরহাট/পাকশী ডিভিশনের আওতায় বৃহত্তম চার লাইনের জংশন দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রেনে চালক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ৩৬ জন চালকের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র নয়জন। আর স্বল্পসংখ্যক চালক দিয়ে ট্রেন পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন পরিচালনা করতে হচ্ছে সহকারী চালক দিয়ে। চালকের অভাবে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে পার্বতীপুর-ঠাকুরগাঁও এবং পার্বতীপুর-লালমনিহাট রুটে চলাচলকারী দুটি ডেমু ট্রেন। এরআগে বন্ধ হয়েছে ২০টি ট্রেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে চালক সংকটে আরও কিছু ট্রেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জানা যায়, দেশের বৃহত্তম চার লাইনের জংশন পার্বতীপুর লোকোশেডের অধীনে আন্তঃনগর একতা, দ্রুতযান, নীলসাগর, রুপসা, তিতুমীর, সীমান্ত, বরেন্দ , দোলনচাঁপা, উত্তরবঙ্গ মেইল, উত্তরা এক্সপ্রেস, রকেট মেইলসহ আপ-ডাউন মিলে বর্তমানে ১৮টি ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া রয়েছে মালবাহী, তেলবাহী ও রিলিফ ট্রেন। ওই সব ট্রেন চালাতে সংশ্লিষ্ট লোকোশেড চালকসহ ইঞ্জিন সরবরাহ করা হয়। ট্রেনচালক সানোয়ার হোসেন জানান, বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত ডিউটি করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকালে ধীরে ধীরে চালকরা অসুস্থ হয়ে পড়বেন।