দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্থলসীমান্ত বিলটি পাস হওয়ায় মুক্ত জীবনের আনন্দে ভাসছেন ছিটমহলবাসী। চলছে মিষ্টি বিতরণ। গতকাল কাকডাকা ভোর থেকে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেন পুরো ছিটমহলবাসী। অনেকে কুশলবিনিময় করেন। কোমলমতি শিশুদেরও আনন্দের কমতি ছিল না। নাচ, গান, আর জাতীয় পতাকা নিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে তারাও। ছিটমহলবাসীর এমন আনন্দ এক নজর দেখার জন্য পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকেও লোকজন ভিড় জমান। বন্দীদশার মুক্তি ঘটায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সভাপতি গাড়াতি ছিটমহলের চেয়ারম্যান মফিজার রহমানের নেতৃত্বে গতকাল শত শত শিশু, নারী-পুরুষ আনন্দ মিছিলে অংশ নেন। পরে তারা সমাবেশে মিলিত হন। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বাত্রিগাছি ছিটমহলের বাসিন্দা জুলেখা বেওয়া বলেন, ‘মুক্ত পাখির মতো মনে হচ্ছে। আমরা আর বন্দী নই। আমাদের এখানে স্কুল-কলেজ হলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারবে।’ কুড়িগ্রামে ফুলবাড়ী উপজেলার অভ্যন্তরে ভারতীয় ছিট দাসিয়ারছড়ার নবম শ্রেণির ছাত্রী শামছুন নাহার বলে, ‘ভুয়া নাম-ঠিকানা দিয়ে পায়ে হেঁটে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ছিট বাংলাদেশ হলে আমাদের আর কষ্ট করতে হবে না।’